বডি লোশন ব্যবহারে হতে পারে ক্যানসার

গোলসের পর অনেক নারীই কমবেশি বডি লোশন ব্যবহার করেন। আবার অনেকেই আছেন যাঁরা একটু পরপর শরীরে লোশন লাগান। তাঁদের জন্য বলছি, যে লোশন আপনি নিয়মিত ব্যবহার করছেন সেই প্রসাধনীটি ধীরে ধীরে আপনার শরীরের রোগজীবাণু ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাই আজ থেকেই সাবধান হয়ে যান। কারণ এই প্রসাধনীর কারণে আপনি ক্যানসারের মুখোমুখিও হতে পারেন।
বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটে বডি লোশন ব্যবহারের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দিক তুলে ধরা হয়েছে। জেনে নিন বডি লোশন আপনার শরীরের কী কী ক্ষতি করছে :
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা
বডি লোশন ব্যবহারের কারণে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা- র্যাশ, চুলকানি ও জ্বালাপোড়া হতে পারে। আর যদি আপনার ত্বক স্পর্শকাতর হয় তাহলে এই সমস্যা আরো দ্বিগুণ পরিমাণ বেড়ে যাবে। তাই বডি লোশন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সচেতন থাকুন।
অ্যালার্জি বাড়িয়ে দেয়
বডি লোশনে যে ধরনের কেমিকেল ব্যবহার করা হয়, তা অ্যালার্জি হওয়ার প্রধান কারণ। এই ধরনের লোশনে কোনো উপাদান পরিমাপ করে দেওয়া হয় না এবং আপনার ত্বকের জন্য সহনশীল করেও প্রস্তুত করা হয় না। তাই এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় আপনাকে। যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাঁরা এ ধরনের লোশন এড়িয়ে চলুন।
ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা
নিয়মিত নিম্নমানের বডি লোশন ব্যবহারের কারণে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। আবার সুগন্ধিযুক্ত বডি লোশনেও ক্ষতিকর উপাদান বেশি থাকে, যা ক্যানসার হওয়ার প্রধান কারণ। তাই সব সময় ভালো মানের লোশন ব্যবহার করুন, যাতে আইনগতভাবে অনুমোদিত রাসায়নিক পদার্থ থাকে।
ত্বকে ফোলা ভাব
বডি লোশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ত্বক, গলা ও জিহ্বা ফুলে যায়। সাধারণত অ্যালার্জি হওয়ার কারণে শরীরের এই অংশগুলো ফুলে যায়। লোশন ব্যবহারের পরে যদি এমন কোনো সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই একজন ত্বক বিশেষজ্ঞকে দেখানো উচিত।
ব্রণ হওয়ার কারণ
যাঁরা নিয়মিত হোয়াইটিনিং বডি লোশন ব্যবহার করেন, তাঁদের ব্রণ অনেক পরিমাণ বেড়ে যায়। হোয়াইটিনিং লোশনের কেমিকেলের কারণে ব্রণের জীবাণু দ্রুত ছড়িয়ে পরে। তাই যাঁদের ব্রণ আছে, তাঁদের বডি লোশন ব্যবহার না করাই ভালো।