সাত বছর হয়ে গেল দোলার চাকরির বয়স। রোজ একই অফিস, একই কাজ, সহকর্মীদের সঙ্গে চর্বিতচর্বণ। প্রতিটি দিনকেই যেন মনে হয় আগের দিনটিরই ফটোকপি। খুব একঘেয়ে লাগে তার। মাঝে মাঝে মনে হয় কোনো আনন্দ পেতে নয়, শুধুই টাকার জন্য এই জীবন মেনে নিতে হচ্ছে তাকে। দোলার মতো অনেকেরই দশা। একই কাজ প্রতিদিন করতে করতে চলে আসে এমন একঘেয়েমি। সপ্তাহের ৫-৬টা দিন প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা অফিস নামের যে জায়গাটিতে সময় কাটাতে হয়, সেখানে যদি প্রতি মুহূর্তেই এমন অনুভূতি জাগে, তাহলে আখেরে নেতি বৈ কিছুই নিয়ে আসে না। এমন যাদের অবস্থা, তাদের জন্য রইলো কবার্গ-ব্যাংকস অনলাইনের সৌজন্যে কিছু পরামর্শ। 

• প্রতিদিনের কাজের বাইরে নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে চেষ্টা করুন। অফিসে হয়তো কোনো নতুন প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা চলছে। তাতে আপনার ভূমিকা না থাকলেও নিজ থেকে একটা দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হতে পারেন আপনি। তাতে আপনাকে একটু বেশি কাজ করতে হবে ঠিকই, কিন্তু এতে করে যেমন নতুন কাজ শিখতে পারবেন তেমনি কাটবে আপনার একঘেয়েমিও। 

• আপনার পছন্দের নিজস্ব একটা কাজ করতে পারেন কাজের অবসরে বা দুপুরের খাবারের বিরতির সময়ে। পড়তে পারেন ম্যাগাজিন, শুনতে পারেন পছন্দের গান কিংবা করতে পারেন পছন্দের এমন যেকোনো কাজ, যা আপনার মন ভালো করে দেবে। 

• নিজের কাজ করতে করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন অন্য সহকর্মীদের দিকে। এতে আপনার মনে প্রশান্তি আসার সঙ্গে সঙ্গে অন্যদের কাছেও প্রিয় হয়ে উঠবেন আপনি। 

• যেখানে আপনি দিনের বেশিরভাগ সময় কাটান, তা যদি আপনার মনের মতো করে সাজানো-গোছানো থাকে তাহলে মন ভালো থাকতে বাধ্য। টেবিলে রাখতে পারেন আপনার সন্তানের মজা করা একটি ছবি। পছন্দের কোটেশন আটকে দিতে পারেন চোখের সামনে। একটা ফুলদানিতে রাখতে পারেন একগুচ্ছ ফুল কিংবা সাজাতে পারেন আপনার মনের মতো কোনো ছোট্ট গাছ দিয়ে।

• ৩-৪ জন সহকর্মী মিলে একটা গ্রুপ করুন। সপ্তাহের একদিন সবাই যে যার বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে আসুন। সেই খাবার ভাগাভাগি করুন বাকিদের মাঝে।

দুপুরের খাবারে সেদিন আসবে পার্টির আবহ। আস্তে আস্তে গ্রুপের সদস্য বাড়ান। সপ্তাহের অন্যান্য দিন ওইদিনের পার্টি নিয়ে জমিয়ে পরিকল্পনা করুন। দেখবেন অফিসের সময়গুলো কেমন করে যেন আপনার কাছে আনন্দময় হয়ে উঠছে।