কাজে বিরতি নেবেন, কেন ও কীভাবে
টানা কাজ করলে আপনার কর্মদক্ষতা হয়তো বাড়বে কিন্তু আরো অনেক দিক দিয়েই পিছিয়ে পড়বেন আপনি। কাজের ফাঁকে নিয়মিত বিরতি নেওয়াটা খুবই দরকার। এতে কাজে মনযোগ বাড়ে আর সাথে সাথে কাজের গতিও। তারপরও যদি এ কথা বিশ্বাস না হয় তাহলে ফ্যামিনা ম্যাগাজিনে দেওয়া নিচের যুক্তিগুলো পড়ে দেখতে পারেন-
মাথা ঠাণ্ডা রাখতে
যখন কোনো শক্ত লক্ষ্য বা সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে আপনার সামনে তখন দেখবেন আপনি স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। কাজের চাপ থাকলে সব সময়ই মনে হতে পারে যে হয়তো কাজটা ঠিকভাবে শেষ করতে পারবেন না। সব চিন্তা বাদ দিন, ডেস্কটা ছেড়ে উঠে একটু বাইরে থেকে হাঁটাহাঁটি করে আসুন। এক কাপ চা কফি খান। ধোঁয়ার সাথে চিন্তাগুলো তাড়িয়ে দিয়ে আবার কাজে বসুন, দেখবেন মনোযোগ ফিরে এসেছে।
শরীরটাকে নাড়াচাড়া করুন
একটানা বসে কাজ করলে শুধু মাথাটাই চালু থাকে আর সবকিছু অবশ হয়ে বেকার পড়ে থাকে। শরীরের অন্যান্য যন্ত্রের প্রতি সদয় হোন। হাঁটাচলা করুন, হালকা ব্যায়ামও করে নিতে পারেন। তাহলে ঘাড়, কাঁধ, হাত ও পিঠের প্রতি কিছুটা নমনীয় আচরণ করা হবে। এরাও একটু আরাম পাবে। প্রতি দুই ঘণ্টায় একবার শরীরটাকে নড়াচড়া করানোটা অবশ্য কর্তব্য (যদি নিজের ভালো চান)।
মনোসংযোগ
কতক্ষণ একটি বিষয়ের ওপর একাগ্রতা ধরে রাখতে পারেন আপনি? যতই মেধাবী হন বাজি ধরে বলা যায় টানা এক ঘণ্টার বেশি কোনো কাজেই মনোসংযোগ করতে পারবেন না। হয় তো ভাবছেন, লেগে থাকলেই হবে! মাঝে মধ্যে ছেড়েও দিতে হয়, দম নেওয়ার জন্য তো কিছুটা সময় চাই। আপনার যে বিশ্রাম দরকার সেটা আপনার শরীর আপনাকে বারবার জানাবে। দেখবেন শরীরটা কেমন ছেড়ে দিচ্ছে, ক্ষুধা লাগছে, একটু শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করছে। একটা বিরতি নিলে এই ক্লান্তির ভাবটা আর থাকবে না। চাঙ্গা হয়ে ফিরে আসবেন।
চোখের খাতিরে
আপনি যদি সব সহ্য করে টানা কাজ করতে পারেনও, আপনার চোখ সেটা সহ্য করতে পারবে না। চোখটাকে বিশ্রাম দিতেই হবে। কাজে বিরতি না দিলে প্রথমে চোখ জ্বালা করবে তারপর মাথা ধরবে। চোখ ও কম্পিউটার মনিটরের মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবধান রাখুন। একনাগাড়ে বেশিক্ষণ কম্পিউটারের স্ক্রিন বা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকবেন না। হাতের পাশে পত্রিকা আছে সেটা পড়ুন, না হলে বাইরে গিয়ে আকাশটা একবার দেখে আসুন।
কিভাবে বিরতি নেবেন
১. প্রতি এক বা দুই ঘণ্টা পরে ১০ মিনিটের একটা বিরতি নিন।
২. এই সময়ে একটু হাঁটাহাঁটি করুন অথবা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে পারেন।
৩. হাত-পা একটু ছড়িয়ে দিন।
৪. চোখটা বন্ধ করুন এবং আরাম করুন।