‘চ্যালেঞ্জ উইথ কালার্স’-এর বিজয়ী রাইজা নওশিন

Looks like you've blocked notifications!

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ‘চ্যালেঞ্জ উইথ কালার্স’ খুঁজে পেল সেরা বিজয়ী রাইজা নওশিনকে।

আজ ১৯ মার্চ বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে ডেইলি স্টার ভবনের এস এম মাহমুদ হলে আয়োজন করা হয় বিউটি সেলুন ‘ওমেন্স ওয়ার্ল্ড’ ও এনটিভি অনলাইন আয়োজিত ‘চ্যালেঞ্জ উইথ কালারস’-প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে।

প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন আলিজা আক্তার মালিহা ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন সৈয়দা আকসাদী লোভা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনটিভির পরিচালক মাহবুবা সুলতানা লিটা, প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাদেকা হালিম, ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কণা আলম ও পরিচালক ফারনাজ আলম।

বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের বুশরা চৌধুরী বৃষ্টি, হেড অব এনটিভি অনলাইন ফকরুদ্দিন আহমেদ জুয়েল, অভিনেত্রী দীপা খন্দকার ও চলচ্চিত্র নায়ক ইমন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনটিভির পরিচালক মাহবুবা সুলতানা লিটা বলেন, ‘মানুষ সুন্দরের পিয়াসী। প্রত্যেকটি মানুষই আলাদাভাবে সুন্দর। আর রূপবিশেষজ্ঞরা সেই সুন্দর মানুষগুলোকে আরো সুন্দর করে তোলেন। আমি মনে করি, বাহ্যিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি মানুষের মন সুন্দর হওয়া জরুরি। তাই আজকের এই প্রতিযোগীদের জন্য বলব, মানুষকে সুন্দর করার এই পেশায় এরা যেন সব সময় ইতিবাচক থাকে।’

ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কণা আলম বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আমরা কিছু সুপ্ত প্রতিভাকে তুলে আনতে পেরেছি। এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে এই আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমি মনে করি নারীর সৌন্দর্য মনে। মনের মাধুরী মিশিয়ে সেই সৌন্দর্য একজন রূপবিশেষজ্ঞ ফুটিয়ে তোলেন, যা অনেক কৌশলের কাজ। এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সেসব রূপবিশেষজ্ঞ তাঁদের পেশাকে সম্মানজনক অবস্থায় নিয়ে যেতে পারবেন।’

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হেড অব এনটিভি অনলাইন ফকরুদ্দিন আহমেদ জুয়েল বলেন, ‘ছয় মাস ধরে আমরা প্রতিযোগিতাটিকে সাজিয়েছি। আজ ফাইনালের মধ্য দিয়ে মনে হচ্ছে আমরা ১০ জন মেকআপ আর্টিস্ট তৈরি করতে পেরেছি।’

প্রতিযোগীদের নিয়ে অভিনেত্রী দীপা খন্দকার বলেন, ‘প্রত্যেকটি মেয়ের মধ্যেই মেকআপের বিষয়টি জন্মগত। এমন অনেকেই আছে যারা মেকআপ আর্টিস্ট হতে চায়। কিন্তু তেমন কোনো সুযোগ সে পায় না। তাদের জন্য এটি অনেক ভালো একটি প্লাটফর্ম বলে আমি মনে করি।’

অনুষ্ঠানে আরেক বিচারক নায়ক ইমন বলেন, ‘আমি ছেলে হলেও কাজের প্রয়োজনে আমাদের একটু আধটু মেকআপ করতে হয়। তাই অল্প হলেও মেকআপ সম্বন্ধে আমার ধারণা আছে। আজকের এই প্রতিযোগীদের দেখে আমার মনে হচ্ছে, আমরা অনেক ভালো মেকআপ আর্টিস্ট পাব।’

এই প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন পেয়েছেন নগদ এক লাখ টাকা, ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের পক্ষ থেকে এক বছরের ফুল ফ্রি স্কলারশিপ, ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের ফটোশুট ও শোতে অংশগ্রহণের সুযোগ ও গিফট হ্যাম্পার।

প্রথম ও দ্বিতীয় রানাআপ পেয়েছেন গিফট হ্যাম্পার ও গিফট ভাউচার। সেরা পাঁচজন প্রতিযোগীকে সনদপত্র ও গিফট হ্যাম্পার দেওয়া হয়। আর সেরা মোট ১০ জন প্রতিযোগীকে ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের পক্ষ থেকে সনদপত্র দেওয়া হয়।

‘রাঙিয়ে তোলো তোমার স্বপ্ন’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় ‘চ্যালেঞ্জ উইথ কালারস’ প্রতিযোগিতাটি।

১৮০০ ছবি থেকে বিচারকদের রায়ে বাছাইকৃত ৪০ জনকে নিয়ে শুরু হয় ভোটিং রাউন্ড। এই ভোটিং রাউন্ড চলে এ বছরের ৪ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং এ প্রতিযোগিতা থেকে সেরা দশটি ছবি নির্বাচন করা হয়।

এদের নিয়ে শুরু হয় পরবর্তী গ্রুমিং সেশন। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরে ওমেন্স ওয়ার্ল্ড একাডেমিতে গত ৭ ও ৮ মার্চ গ্রুমিং সেশন চলে। গ্রুমিং সেশন পরিচালনা করেন ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের ডিরেক্টর ও বিউটি এক্সপার্ট ফারনাজ আলম ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ।

গত ১১ মার্চ আয়োজিত সেমিফাইনালে এই ১০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে পাঁচজনকে বাছাই করা হয়। সেই পাঁচজনের নাম প্রকাশ করা হয় আজকের ফাইনাল অনুষ্ঠানে। পাঁচজন ফাইনালিস্ট ছিলেন রাইজা নওশিন, তেহরিন বিন্তে তারিক, শুভরিনা কাশেম, সৈয়দা আকসাদী লোভা, আলিজা আক্তার মালিহা।