মেয়েদের মেসেজে কি ছেলেরা বিরক্ত হন?
মেয়েদের মতো ছেলেদেরও মোবাইল ফোনে মেসেজ লিখতে বা পড়তে ভালো লাগে। বিশেষ করে ছেলেরা যখন কোনো প্রেমের সম্পর্কে থাকে, তখন বারবার ফোন দেখে—কোনো মেসেজ নেই তো! ফোনের মেসেজের প্রতি তখন তার বেশ কৌতূহল কাজ করে।
কিন্তু তার মানে এই নয়, দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টাই কারো মেসেজ পেতে ভালো লাগে। এটি একটি মেয়ের বেলায় যেমন সত্যি, তেমনি ছেলেদের বেলাতেও। তবে ছেলেদের কিছু মুহূর্ত বা পরিস্থিতি আছে, যেসব পরিস্থিতিতে তারা মেসেজ পেতে ভালোবাসে বা ভালোবাসে না। কখন ছেলেদের মেসেজ পেতে ভালো লাগে আর কখন লাগে না, সেটি ছেলেদের দৃষ্টিকোণ থেকে, মেয়েদের উদ্দেশ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের লাইফস্টাইল বিভাগ। চলুন দেখে নিই, কী আছে তাতে।
মেসেজের উত্তর দিতে দেরি করলে
মেসেজ দেওয়ার পর যদি আপনি উত্তর পাঠাতে অনেক বেশি দেরি করে ফেলেন, তখন ছেলেরা তো বিরক্ত হবেই। বিশেষ করে যখন তার মধ্যে কোনো কৌতূহল কাজ করবে, সে কোনো বিষয়ে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে, তখন আপনার দেরি না করাই ভালো।
ছোট উত্তর দেওয়া
যখন ছেলেরা অনেক বড় একটি মেসেজ পাঠায়, তখন যদি আপনি শুধু হ্যাঁ বা না দিয়ে মেসেজ পাঠান, তাহলে তার রাগ হতেই পারে। আপনারও রাগ হতো। তাই ছোট ছোট উত্তর দেওয়া বন্ধ করুন।
যখন ছেলেরা ব্যস্ত থাকে
আপনার প্রেমিক যখন অফিসে থাকবে, তখন তাকে বারবার মেসেজ না করাই ভালো। ছেলেরা যখন কাজে থাকে, তখন মেসেজের উত্তর দিতে খুবই বিরক্ত হন।
অন্যকে মেসেজ পাঠানো
যখন আপনি তার সঙ্গে থাকবেন, তখন ভুলেও অন্য কাউকে মেসেজ পাঠাবেন না। ছেলেরা এটা একদমই পছন্দ করে না। প্রেমিক পাশে থাকা অবস্থায় বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাটিং বা মেসেজ আদান-প্রদান না করাই ভালো।
খুব কম মেসেজ দেওয়া
আপনি যদি তাকে খুব কম মেসেজ দেন, তাহলে সে ভাববে তার প্রতি আপনার তেমন কোনো আগ্রহ নেই। ছেলেরা এই বিষয় খুব ভালোভাবে খেয়াল করে। তাই মাঝেমধ্যে প্রেমিককে বেশি করে মেসেজ পাঠান। এতে সে বিরক্ত হলেও মনে মনে খুশি হবে।
ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না
প্রেমিক যদি আপনাকে মেসেজে প্রশংসা করে, তাহলে তাকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না। কারণ, যে মানুষটি অনেক গুছিয়ে আপনার মনকে ভালো করার জন্য সুন্দর একটা মেসেজ পাঠায়, তার মন ভাঙার কি কোনো দরকার বলুন? এতে একটা সময় প্রেমিক আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।