অসুস্থ সন্তানের যত্ন নেবেন যেভাবে
আপনি যদি অভিভাবক হয়ে থাকেন, তাহলে সন্তান অসুস্থ হলে কেমন লাগে, তা অবশ্যই অনুধাবণ করতে পারবেন। প্রত্যেক মা-বাবাই চান, তাঁর স্নেহের সন্তানকে হাসি-খুশি দেখতে। তাই সন্তানের অসুস্থতা মানেই মা-বাবার উদ্বেগের কারণ।
সন্তানের অসুস্থতা মা-বাবার ঘুম হারাম করার জন্য যথেষ্ট। শুধু তা-ই নয়, শিশুর পড়াশোনা ও অন্যান্য কাজেও ক্ষতিসাধন হয়। ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তাঁরা ঘনঘন অসুস্থ হয়। অসুস্থ অবস্থায় শিশুর বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
সুতরাং, অসুস্থ শিশুর যত্ন নিতে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই কিছু টিপস দিয়েছে। একনজরে দেখে জেনে নিন কী সেগুলো।
১. চাপমুক্ত রাখুন
শরীর ভালো না থাকলে মনও ভালো থাকে না। আর শিশুরা অসুস্থ হলে তাদের মনটাও খারাপ থাকে, শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল। তাই কিছুদিনের জন্য পড়াশোনাসহ অন্যান্য কাজ থেকে বিরতি দিন। এতে সে অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্তি পাবে।
২. ব্যতিক্রমী খাবার রান্না করুন
অসুস্থ অবস্থায় খাবার তালিকায় আসে ভিন্নতা। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার রান্না করুন। শিশু যেন সময়মতো খায়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
৩. কৌশলে ওষুধ খাওয়ান
বেশির ভাগ শিশু ওষুধ খেতে পছন্দ করে না। আপনার সন্তানও যদি ওষুধ খেতে অনীহা প্রকাশ করে, তাহলে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করুন। খাবার কিংবা দুধের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে তাকে খাওয়াতে পারেন।
৪. জ্ঞান অর্জন করুন
কী কী উপায়ে সন্তানের অধিক যত্ন নেওয়া যাবে, তা জানতে বই, ব্লগ, ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিপস নিতে পারেন।
৫. বিশ্রাম নিতে দিন
সন্তান লেখাপড়ায় পিছিয়ে যাবে বলে অনেক মা-বাবা অসুস্থ অবস্থায় জোর করে পড়তে বাধ্য করেন। এটা একবারেই ঠিক নয়। এ সময় জোর করে কিছু করালে তার শরীরের ওপর যেমন খারাপ প্রভাব পড়ে, তেমনি অনেক সময় মা-বাবার ওপরও ভক্তি কমে যায়।
৬. স্বাস্থ্যবিষয়ক জ্ঞান
কীভাবে নাক পরিষ্কার করবে, ব্যবহৃত টিস্যু কোথায় ফেলতে হবে আপনার সন্তান হয়তো জানে না। তাই পরিষ্কার থাকতে শেখান এবং স্বাস্থ্যকর থাকার বিষয়ে ধারণা দিন।
৭. আদর করুন
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কিংবা শিশু যে-ই অসুস্থ হোক না কেন, তাদের সঙ্গে নমনীয় আচরণ করতে হবে। আর শিশুদের অসুস্থতায় তাকে জড়িয়ে ধরলে, চুমু দিলে সে খুশি হয়, যা তাঁকে আরোগ্য লাভে সাহায্য করে।