বক্ষবন্ধনীর যেসব ভুলে নারীদের ক্ষতি হয়!

Looks like you've blocked notifications!

নারীদের অতিপ্রয়োজনীয় একটি অন্তর্বাস হলো বক্ষবন্ধনী, যা তাদের ব্যবহার করতেই হয়। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েই তাদের সবচেয়ে বেশি অবহেলা। হয়তো সামান্য কিছু ভুলে হতে পারে তাদের জটিল কোনো রোগ কিংবা না জানার কারণে হতে পারে অস্বস্তি। তাই জেনে নিন এই অন্তর্বাসের ক্ষেত্রে নারীরা কী কী ভুল করেন। এ ক্ষেত্রে রিডার্স ডাইজেস্টের এই পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন। 

১. নারীরা সব সময় টাইট বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করতে পছন্দ করেন, যা তাদের জন্য ক্ষতিকর। ঢিলেঢালা হুক আছে এমন বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করা উচিত। এতে বক্ষবন্ধনী সারা দিন পরে থাকলেও অস্বস্তি কম লাগবে।

২. নারীদের আরেকটি ভুল হলো- সব সময় একই মাপের বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের শারীরিক অনেক পরিবর্তন হয়। এর ফলে একই মাপের বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৩. কাপ স্টাইলের বক্ষবন্ধনীর ক্ষেত্রে নারীরা যে ভুল করেন সেটা হলো, হয় তারা খুব বড় মাপের কেনে কিংবা ছোট মাপের কেনে। এর ফলে পোশাক পরলে শারীরিক গঠন দেখতে ভালো লাগে না।

৪. বক্ষবন্ধনীর ফিতা খুব বেশি চিকন বা মোটা না হওয়াই ভালো। মাঝামাঝি চওড়া মাপের ফিতা বাছাই করুন। তাহলে ব্যবহার করে স্বস্তি পাবেন।

৫. কাপ স্টাইলের বক্ষবন্ধনীতে মেটালের স্প্রিং ব্যবহার করা হয়, যা অনেক সময় বাইরে বের হয়ে যায়। আর এতে খোঁচা লাগার কারণে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে। তাই সাবধান!

৬. একই বক্ষবন্ধনী টানা অনেকদিন ব্যবহার করা উচিত না। এমনকি পরপর ব্যবহার করাও ঠিক না। প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করুন। আর দুই থেকে তিনতিন পরপর ধুয়ে ফেলুন।

৭. বক্ষবন্ধনী হেয়ার ড্রাইয়ার দিয়ে না শুকিয়ে রোদে শুকানোই ভালো। এতে জীবাণুও দূর হবে। আর হেয়ার ড্রাইয়ার ব্যবহার করলে এর স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হবে।

৮. কখনোই কাপ স্টাইলের বক্ষবন্ধনী ভাজ করে আলমারিতে রাখবেন না। এমনকি অনেক কাপড়ের সঙ্গে ঠেসেও রাখবেন না। এতে এর মাপ নষ্ট হয়ে যাবে এবং মেটালের স্প্রিং বাঁকা হয়ে যেতে পারে।

৯. সব সময় পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বক্ষবন্ধনীর রং বাছাই করবেন। কন্ট্রাস্ট কালারের বক্ষবন্ধনী পরলে রোদে বা আলোতে গেলে পোশাকের ভেতর থেকেও বোঝা যাবে, যা খুবই অস্বস্তিকর।

১০. দীর্ঘদিন একই বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এতে রোগজীবাণু ছড়ায়। আর এই অভ্যাসের কারণে আপনার শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ বেশি হবে।