দাওয়াতে গেলে কী করবেন, কী করবেন না

Looks like you've blocked notifications!

কোথাও দাওয়াত খেতে গেলে কিছু বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। যাতে যিনি আপনাকে দাওয়াত দিয়েছেন, তিনি যেন আপনার কোনো আচরণে বিরক্ত না হন। দাওয়াতে গিয়ে কী করবেন আর কী করবেন না, সে সম্বন্ধে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রিডার্স ডাইজেস্টে। আপনি চাইলে এই তালিকা একবার দেখে নিতে হবে।

১. দাওয়াত দুপুরে না রাতে, ভালো করে জেনে নিন। কয়টার মধ্যে পৌঁছাতে হবে, এটাও জেনে নিন। খুব বেশি দেরি করবেন না। এতে যিনি আপনাকে দাওয়াত দিয়েছেন, তিনি বিরক্ত হতে পারেন।

২. অবশ্যই যিনি দাওয়াত দিয়েছেন, তাঁর জন্য বা তাঁর পরিবারের জন্য উপহার নিয়ে যাবেন। চেষ্টা করুন তিনি যেটা পছন্দ করেন, সেটা নিয়ে যাওয়ার। আর যদি অপরিচিত কারো বাসায় প্রথম দাওয়াতে যান, তাহলে এমন কিছু নিয়ে যান যেটা তাঁর ব্যবহার উপযোগ্য হবে।

৩. বাসায় ঢোকার পর হুট করেই কোনো রুমে যাবেন না। যদি বাসার মালিক আপনাকে নিজে সঙ্গে করে নিয়ে যান, তাহলে তাঁর সঙ্গে যান। আর হুট করেই বাসার কিছু ধরবেন না। এটা এক ধরনের ভদ্রতা।

৪. রান্নার বিষয়ে কিংবা খাবার পরিবেশনের বিষয়ে বাসার মালিককে সাহায্য করার চেষ্টা করুন। এতে তিনি খুশি হবেন। তবে আপনাকে সে কিছুই করতে দেবে না। তবুও সাহায্যের জন্য বলাটাও এক ধরনের ভদ্রতা।

৫. যিনি দাওয়াত করেছেন, তাঁর ঘর যেন নোংরা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। আপনার সঙ্গে শিশু থাকলে তার দিকে লক্ষ রাখুন। কারণ, শিশুরা কোথাও গেলে সেই জায়গা নোংরা করে ফেলে। এ ধরনের বিষয়ে বাসার মালিক বিরক্ত হতে পারেন।

৬. খাবার খাওয়ার বিষয়ে সচেতন থাকুন। টেবিল নোংরা করবেন না। যতটুকু খাবার খেতে পারবেন, ঠিক ততটুকু খাবারই প্লেটে নিন। বেশি খাবার নিয়ে অযথা অপচয় করবেন না। আর শিশুদের আগেই খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। না হলে একই সঙ্গে খেতে বসলে শিশুরা বিরক্ত করতে পারে। এতে আপনিও বিব্রত হবেন।

৭. ফিরে যাওয়ার সময় যিনি দাওয়াত দিয়েছেন, তাঁকে ধন্যবাদ জানান, যাতে তিনি খুশি হন। কারণ, আপনাকে খুশি করার জন্য তিনি অনেক কিছু করেছেন। এবার আপনার তাঁকে ধন্যবাদ দেওয়ার পালা।