বিছানার চাদর না ধুলে পাঁচ রোগের ঝুঁকি

Looks like you've blocked notifications!
ছবি- ফ্রিপিক

নিজের শোবার ঘর আকর্ষণীয় করার জন্য আমরা বিছানাতে সুন্দর চাদর বিছিয়ে দেই। এতে আমাদের রুম আরও উজ্জ্বল দেখায়। কিন্তু সময়ের অভাবে বা ব্যস্ততার কারণে এই বিছানার চাদর পরিবর্তন করা  কষ্টের কাজ হয়ে ওঠে। আর এভাবেই আপনি ত্বকের নানা রোগকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।  বিছানার চাদর দৃশ্যমান ভাবে নোংরা না হওয়াতে আমরা এটি অনেক দিন পর পর ধুয়ে নেই। ত্বকের মৃত কোষ, ঘাম, ব্যাকটেরিয়া চাদরে জমে থাকে। এগুলো ব্রণ, চুলকানি এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। নিয়মিত বিছানার চাদর না বদল করলে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং অন্যান্য অণুজীব বেড়ে যায়।  যা ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণের কারণ হতে পারে।

ডাঃ রিঙ্কি কাপুর, ডার্মাটো-সার্জন, দ্য এসথেটিক ক্লিনিকের কনসালট্যান্ট ডার্মাটোলজিস্ট, কসমেটিক ডার্মাটোলজিস্ট  এইচটি ডিজিটালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “সপ্তাহে অন্তত একবার বা তার বেশি বিছানার চাদর পরিবর্তন করুন। ঘুমের সময় খুব বেশি ঘামেন বা ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে নিয়মিত চাদর বদলান। নিয়মিত গোসল করুন। ত্বক পরিষ্কার রাখুন। তাহলে ত্বকের সংক্রমণ কমতে পারে”।

ডাঃ রিঙ্কি পাঁচটি ত্বকের সংক্রমণের তালিকা শেয়ার করেছেন। যা আপনি নিয়মিত বিছানার চাদর পরিবর্তন না করলে আক্রান্ত হতে পারেন।

ফলিকুলাইটিস

বিছানার চাদরে ঘাম, ত্বকের মৃত কোষ এবং তেল জমতে পারে। যার ফলে চুলের ফলিকল আটকে যায়। এতে ফলিকুলাইটিস হতে পারে। এটি একটি ত্বকের সমস্যা। এ সময় চুলের ফলিকলের চারপাশে লাল গোটা হবে। সেখান থেকে পুঁজ বের হবে।

ব্রণ

নোংরা বিছানার চাদরে ব্যাকটেরিয়া এবং সিবাম থাকে। যা ব্রণ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিশেষ করে যাদের ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের জন্য এটি বেশ ক্ষতিকর। বিছানার চাদর পরিষ্কার না থাকলে ত্বকের প্রদাহ বৃদ্ধি পায়। বিদ্যমান ব্রণের অবনতি ঘটাতে পারে।

দাদ

অপরিষ্কার বিছানার চাদর ছত্রাকের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলে। বিশেষ করে, উষ্ণ এবং আর্দ্র পরিবেশে এটি আরও বৃদ্ধি পায়। দাদ, একটি সংক্রামক ছত্রাক। নোংরা চাদরের সংস্পর্শের মাধ্যমে এর সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। ত্বকে চুলকানি  এবং ফুসকুড়ি হতে পারে।

ইমপেটিগো

ইমপেটিগো হল একটি সংক্রামক ব্যাকটেরিয়াজনিত ত্বকের সংক্রমণ। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, যেমন স্ট্রেপ্টোকক্কাস বা স্ট্যাফিলোকক্কাস, ত্বকে প্রবেশের মাধ্যমে এই রোগ হয়।  নোংরা চাদর এই ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন ক্ষেত্রে হয়ে ওঠে।  

পায়ে চুলকানি

ঘুমানোর সময় পা চাদরের সংস্পর্শে আসে। এ সময় ছত্রাক যদি অনুকূল পরিস্থিতি খুঁজে পায় তবে তারা পায়ে আক্রমণ করবে। পায়ে চুলকানি ও  লালভাব দেখা যেতে পারে। ত্বকের এ সব সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য, বিছানার চাদর নিয়মিত পরিবর্তন করুন।

সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস