নিজে নিজে কীভাবে এসি পরিষ্কার করবেন?
প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। আর গরম থেকে বাঁচার একমাত্র সহায় যেন এসি। এই অসহনীয় গরম থেকে মুক্তি পেতে অনেকের বাড়িতেই নতুন এসি কিনেছেন। কিন্তু একটু শান্তির খোঁজে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ করার যন্ত্রটি চালাতে গিয়ে দেখলেন, সেখান থেকে ঠান্ডার বদলে গরম হাওয়া বের হতে শুরু করেছে! তীব্র গরমে এসি সারানোর মিস্ত্রিদের চাহিদাও তুঙ্গে। তাই চাইলেই যে আপনার ফোনে দোকান থেকে এসির মিস্ত্রি ছুটে আসবেন এমনটা নয়। তবে, অনেককেই দেখেছেন বাড়ির এসি নিজেকেই পরিষ্কার করতে। প্রাথমিকভাবে তা করে ফেলাই যায়। তাই বাধ্য হইয়া নিজেই কাজে নেমে পড়তেই পারেন।
নিজে নিজে কীভাবে পরিষ্কার করবেন এসি?
– প্রাথমিকভাবে ধুলো ঝেড়ে পরিষ্কার করে, এসির উপরের ঢাকনা খুলে নিতে হবে।
– তারপর এসির ভিতরে লাগানো সূক্ষ্ম জালের স্তর বার করে নিতে হবে। খেয়াল করবেন তার মধ্যে অজস্র ধুলো আটকে থাকে।
– সামান্য গরম তরল সাবান গুলে, তার মধ্যে জালগুলো ভিজিয়ে রাখতে পারেন। বেশ কিছুক্ষণ পর হালকা করে ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
– এবার ভিতরের অংশটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন। ভ্যাকিউম ক্লিনার থাকলে আরও ভাল হয়। হাওয়ার দাপটে এসি যন্ত্রের ভিতরে আটকে থাকা ধুলো-ময়লা বেরিয়ে আসে।
যদি ময়লা জমার কারণে এসি থেকে গরম হাওয়া বের হয়, তাহলে এই পদ্ধতি কাজে দেবে। তবে, এসিতে যদি গুরুতর কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে মিস্ত্রির জন্য অপেক্ষা করতেই হবে। এলাকার পরিচিত দোকান থেকে মিস্ত্রিকে যদি ধরে আনতে না পারেন, সেক্ষেত্রে অ্যাপের সাহায্য নিতে পারেন। যে কোনো অপারেটিং সিস্টেম থেকেই সেই অ্যাপগুলো চালানো যায়। এসির সমস্যার কথা জানিয়ে ওই অ্যাপ থেকে নিজেদের সুবিধা মতো দিনক্ষণ ঠিক করে রাখতে হয়। বাড়ির ঠিকানা এবং ফোন নম্বর দেওয়া থাকলে সময়মতো বাাড়িতে মিস্ত্রি চলে আসেন। তবে, অভিজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এসি কেনার সময়ে আরও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
– বাড়িতে মোট কয়টি এসি লাগানো হচ্ছে সেই তথ্য আগে থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী বিভাগে জানিয়ে রাখতে হবে। লোড টানতে না পারলে বিপদ হতে পারে।
– এসি চলাকালীন ঘরের দরজা-জানালা খোলা রাখা কিংবা ঘরের মধ্যে ধূপ কিংবা কয়েল জ্বালানোর অভ্যাস থাকলেও এসি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এসি চলাকালীন বাড়ির সকলকেই একটু সতর্ক থাকতে হবে।
– নতুন এসি কেনার সময়ে পাঁচ স্টার রেটিং দেখে তবেই কিনবেন। তাতে যেমন বিদ্যুৎ খরচ কম হয়, তেমন এসির উপরেও চাপ কম পড়ে।