অসহায় মাকে ভরণপোষণ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
অসহায় এক মায়ের ভরণপোষণের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী সাতদিনের মধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ডিজিকে (মহাপরিচালক) এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে বনানীর ১১ নম্বর রোডের এম ব্লকের ৭৮নং বাড়িটি যেন হস্তান্তর করতে না পারে বা মডগেজ দিতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে বৃদ্ধা সাফাত আরা সোবহানের জীবন ও সম্পত্তির অধিকার রক্ষায় কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া অসহায় মানুষদের জন্য আলাদা ডিপার্টমেন্ট তৈরির কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন, অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
এক দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ এসব আদেশ দেন।
রিটে বলা হয়, স্বনামধন্য ডাক্তারের মৃত্যুর পর তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানরা সৎমা বলে বাড়ি থেকে বের করে দেন। অসহায় অবস্থায় রাস্তায় ঘোরাফেরা করার পর ডাক্তারের স্ত্রী মহিলা পরিষদ ও আইন সালিস কেন্দ্রের সহযোগিতা চান। মাহিলা পরিষদ তাঁর সন্তানদের ডেকে এনে কিছু দিনের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করে। ভরন পোষণের জন্য দেওয়া ওই অর্থ শেষ হওয়ার পর থেকে তিনি আবার অসহায় ও নিরাপত্তাহীন রয়েছেন।
এ অবস্থায় ‘বৃদ্ধাশ্রমের এক মায়ের আকুতি’ ‘স্বামীর দেড়শ কোটি টাকার সম্পদ ডাক্তার ছেলের দখলে’ শিরোনামে একটি দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ করা প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট করা হয়। অসহায় বৃদ্ধাকে নিয়ে আদালত রুলসহ নির্দশনা দেন বলে রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান।