বেতন বৈষম্য দূর করার দাবি সাকিবদের
শ্রম বিভাজনের মতো সারা বিশ্বে ক্রিকেটারদের বেতন বৈষম্য চলছে। এখনই উপযুক্ত সময় এই বৈষম্য দূর করা। গতকাল মঙ্গলবার সিডনিতে শুরু হওয়া মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বার্ষিক সভায় বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও ইংলিশ ক্রিকেটার জনি বেয়ারস্টো ক্রিকেটারদের বেতন বৈষম্য দূর করার দাবি জানান। এই বেতন বৈষম্যের কারণে ক্রিকেটাররা ম্যাচ ফিক্সিংয়ে মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়েন।
বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই সভায় যোগ দিয়ে সাকিব বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক তরুণ ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটকে লক্ষ্য হিসেবে দেখেছেন না। তার কারণ টেস্টের তুলনায় টি-টোয়েন্টিতে আয়ের সুযোগ বেশি।’
আর অস্ট্রেলীয় সাবেক অধিনায়ক রিকি বলেন, ‘আইসিসির উচিত আরো সচেতন হওয়া তাদের দেওয়া টাকা কীভাবে খরচ হচ্ছে। এই টাকা অবশ্যই ক্রিকেটারদের পাওয়া উচিত।’
গত বছর অক্টোবরে এক জরিপে দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ২০১৭ সালে ১.৪৬৯ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। অথচ জিম্বাবুয়ের গ্রায়েম ক্রেমার মোটে ৮৬ হাজার ডলার আয় করেন। ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি সর্বসাকুল্য এক মিলিয়ন ডলার আয় করেন, সেখানে রবি শাস্ত্রী এক বছরে বেতন পান ১.১৭ মিলিয়ন ডলার।
সাম্প্রতিক সময়ে নারী ক্রিকেটে বেতন বৈষম্য দেখা যাচ্ছে। তাই ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ এবং পারিশ্রমিক দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা কাঠামো নির্ধারণ বর্তমান সময়ে বেতনের অসমতা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
বেতন বৈষম্যের কারণে অনেক সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার ম্যাচ ফিক্সিয়ে জড়িয়ে অকালে হারিয়ে যাচ্ছে। বেতন বৈষম্য দূর হলে আশা করা যায় ক্রিকেটে তারা পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারবে বলে আশা করেন সভায় উপস্থিত অনেকেই।