জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে মন্তব্য করেছেন এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও সংকটে আগামী জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অলি এসব কথা বলেন।

কর্নেল অলি আরো বলেন, তৎকালীন সেনা-সমর্থিত সরকারের সময় অনেক রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বর্তমান সরকারের অনেক নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে; কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় তাঁদের মামলাগুলো পরিহার করা হয়েছে। আর খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলাগুলো চালু রেখে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমান সরকারের অনেক মন্ত্রী-এমপি সপদে বহাল আছেন, তাঁদের কারাগারে যেতে হয়নি। কিন্তু খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে নির্জন কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

এলডিপি সভাপতি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিএনপি ও ২০ দল নির্বাচনে অংশ নেবে কি না? কারণ, এখন ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে আন্দোলন সফল হবে না। কারণ বর্তমান সরকার সহজে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে না।’

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করতে হবে বলে জোটের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান অলি আহমদ। তিনি বলেন, ‘কোনো সংঘাতে জড়িয়ে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে চাই না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা আমাদের জন্য এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’

সংগঠনের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির সাভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, এলডিপির যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম।