‘যৌতুকের জন্য’ গৃহবধূকে ‘হত্যা’, স্বামী আটক
গাজীপুরের শ্রীপুরে যৌতুক দিতে না পারায় এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী সোহাগ মিয়াকে (২৫) আটক করেছে।
নিহতের নাম ঝুমা আক্তার (২২)। তিনি শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের কায়েতপাড়া গ্রামের ফজর আলীর মেয়ে। ঝুমা স্থানীয় মাহদিন পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। আট মাস আগে ঝুমা ও সোহাগের বিয়ে হয়।
শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মালেক ও বাড়ির মালিক ছমির উদ্দিন জানান, প্রায় আট মাস আগে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিন ওরফে হাবির ছেলে সোহাগ মিয়ার (২৫) সঙ্গে ঝুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঝুমাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার এলাকায় ছমির উদ্দিনের ভাড়া বাড়িতে থেকে ঝুমা ও তাঁর স্বামী স্থানীয় গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করতেন। রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ সময় এলাকাবাসী সোহাগকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা, তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে।
নিহতের বাবা ফজর আলী ও স্বজনরা জানান, বিয়ের পরপরই সোহাগ যৌতুকবাবদ ঝুমার বাবার কাছে দেড় লাখ টাকা দাবি করে। মেয়ের সুখের কথা ভেবে ধারদেনা করে ওই টাকা পরিশোধ করেন ঝুমার বাবা। সম্প্রতি সোহাগ আরো এক লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু ওই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায় ঝুমাকে গালিগালাজ ও নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এর জের ধরে গতকাল সকালে ঘুমন্ত ঝুমার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাঁকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে হত্যা করে ঝুমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন।