‘কণ্ঠ আছে বলেই তাঁরা মতামত দিতে পারছেন’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশ ও জাতির কল্যাণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়েছে, এতে গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ হবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার সংসদের চলতি অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের স্বার্থের কথা না দেখে শুধু নিজেদের কথা চিন্তা করে আইনটির সমালোচনা করছে একটি গোষ্ঠী।’ তিনি আরো বলেন, ‘কণ্ঠ আছে বলেই তো তাঁরা মতামত দিতে পারছেন। কণ্ঠরোধ করলে তো আর মতামত দেওয়ার মতো ক্ষমতা থাকত না।’
দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদে নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংসদে সরকার এবং বিধোধী দলের সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থান গণতন্ত্রের ভিত্তিকে শক্তিশালী করেছে।’ এ সময় সংসদের ২২তম অধিবেশনকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অধিবেশনে ১৮টি বিল পাস হয়েছে যার অধিকাংশই গুরুত্বপূর্ণ।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ এবং মানুষের স্বার্থে বিশেষ করে শিশুদের কল্যাণে আইনটি পাস করা হয়েছে। অথচ গণমাধ্যমের একটি অংশ শুধু নিজের কথা চিন্তা করে আইনটির সমালোচনা করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখ লাগে কেউ কেউ শুধু ব্যক্তিস্বার্থ থেকে বা তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ থেকে ওই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই তারা মতামত দিয়েছেন। কিন্তু এটা তাঁরা একবার চিন্তা করেননি সমগ্র সমাজ, সমগ্র দেশ তার স্বার্থে যে এ বিলটা কত গুরুত্বপূর্ণ এটা তাঁদের মাথায় আসেনি। আমি দেখলাম বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য এডিটর বা সাংবাদিক বা সমাজের বিজ্ঞজন তাঁরা এটার বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছেন। তাঁরা শুধু তাঁদের কণ্ঠরোধ হল কিনা সেটাই দেখে। কণ্ঠতো তাঁদের রোধ হয়নি। কণ্ঠ আছে বলেই তো তাঁরা মতামত দিতে পারছেন। কণ্ঠরোধ করলে তো আর মতামত দেওয়ার মতো ক্ষমতা থাকতো না।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অসামাজিক কর্মকাণ্ড, অপপ্রচার এবং বিভ্রান্তি রোধ করতে আইনটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন শেখ হাসিনা।
পাশাপাশি বর্তমান সরকারের নানা অর্জন তুলে ধরে প্রধামন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাস দমনে সফলতার পর মাদক নির্মূলে কাজ করছে তাঁর সরকার।