ইট ক্রেতা সেজে পিয়াস হত্যার আসামিকে গ্রেপ্তার
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার স্কুলছাত্র পিয়াস হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নাজমুলকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার দুর্গম অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অপরাধ-ময়মনসিংহ) মতিউর রহমানের নির্দেশে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ- ময়মনসিংহ) খন্দকার ছাইদ আহম্মদের তত্ত্বাবধানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়।
তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সিআইডির নেত্রকোনা জেলার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রীতেশ তালুকদারের নেতৃত্বে ফোর্সসহ গতকাল নাজমুলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
অভিযানের সময় ইট ক্রেতা সেজে আসামি নাজমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে নেত্রকোনায় নিয়ে আসা হয়।
নাজমুল বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চল্লিশ কাহ্নীয়া হাফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও বারহাট্টার কর্ণপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে পিয়াস মিয়া হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি।
এসআই প্রীতেশ তালুকদার জানান, স্কুলছাত্র পিয়াস হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নাজমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পিয়াস হত্যার পরদিন বারহাট্টা থানায় নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন পিয়াসের বাবা খোরশেদ মিয়া। মামলাটি কিছুদিন পর সিআইডির কাছে ন্যাস্ত করা হয়।
পিয়াস গত ২৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে স্থানীয় ফকিরের বাজারে একটি দোকানে বসে গল্প করছিল। এ সময় তার বন্ধু পাশের কান্দাপাড়া গ্রামের ফয়জুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া বোনের গায়ে হলুদের কথা বলে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে কান্দাপাড়া গ্রামের স্থানীয় লোকজন পিয়াসকে অজ্ঞান অবস্থায় ফকিরের বাজারে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাত ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পিয়াসের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।