কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত
কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রাতে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে একটি ঘটনা ঘটেছে সদর উপজেলায়; অন্যটি দৌলতপুরে।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিহত দুজনই মাদক ব্যবসায়ী। এ সময় ছয় পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁর নাম মদন (৪৫)। তিনি দৌলতপুর উপজেলার জামাল গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, তিনি দৌলতপুর উপজেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানাসহ বিভিন্ন থানায় দেড় ডজনের বেশি মামলা রয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন দাবি করেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশ জানতে পারে, উপজেলার কবুরহাটের মাদ্রাসাপাড়া জি কে ক্যানেলের পাশে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে। তখন পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযানে যায়।
‘পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি।’
ওসি আরো দাবি করেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, তিনটি গুলি ও ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমানসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে দৌলতপুর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, গতকাল দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার বাঁধের বাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে দুদল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
‘ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলি, ৯০০ ইয়াবা ও ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন,’ যোগ করেন ওসি।