গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা, দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
ঢাকার সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
আজ রোববার বিকেল ৪টার দিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনের সামনে এই সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফররুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলার দুই বাদী মোহাম্মদ আলী ও নাছির উদ্দিন লোকজন নিয়ে আজ বিকেলে পিএইচএ ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সম্মেলনে আসামি হিসেবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তাঁরা।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফররুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলার দুই বাদী মোহাম্মদ আলী ও নাছির উদ্দিন লোকজন নিয়ে আজ বিকেলে পিএইচএ ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন। ছবি : এনটিভি
সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় অন্তত ১৫ জন। এ ঘটনার পর পুরো এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল সালাম বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের ভেতরে প্রবেশ করে সংবাদ সম্মেলন করে দখলকারীরা। একপর্যায়ে বিনা উসকানিতে তারা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলার বাদী আওয়ামী লীগ নেতা নাসির উদ্দিন জানান, তারা কারো ওপর হামলা করেননি। বরং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের লোকজনই তাদের ওপর হামলা করেছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, দুই পক্ষই ঘটনার জন্য দায়ী। তাদের কারণেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে।
নানা ঘটনার ধারাবাহিকতায় এর আগে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও তাঁর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মাছ চুরি ও ফল চুরিসহ ছয়টি মামলা করা হয়।
হামলায় আহত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী। ছবি : এনটিভি
এর আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে সেনাপ্রধান সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়।
গত ১২ অক্টোবর শুক্রবার ক্যান্টনমেন্ট থানায় মেজর এম রাকিবুল আলম ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ১৫ অক্টোবর সোমবার ওই সাধারণ ডায়েরিটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।