কিশোরগঞ্জে ৩৬ প্রার্থীর লড়াই
কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি আসনে দলীয়ভাবে প্রার্থী মনোনয়ন নির্দিষ্ট করে দেওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের এক ও বিএনপির পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেছে। এ ছাড়া ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে গতকাল রোববার জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর ফলে জেলার ছয়টি আসনে ৩৬ জন প্রার্থী চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঠে রয়ে গেলেন।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে গণতন্ত্রী পার্টির অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, গণফোরামের আজহারুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ জামী ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আমিনুল ইসলাম তারেক, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদি-পাকুন্দিয়া) আসনে সফিউর রহমান বাচ্চু এবং কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে গণতন্ত্রী পার্টির অ্যাডভোকেট গাজী এনায়েতুর রহমান।
এ ছাড়া দলীয়ভাবে প্রার্থী মনোনয়ন নির্দিষ্ট করে দেওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের বাতিল হওয়া প্রার্থী হচ্ছেন কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন। একই কারণে বাতিল হওয়া বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল খান, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে মো. শহীদুজ্জামান কাকন, কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে অ্যাডভোকেট জালাল মো. গাউস ও সাইফুল ইসলাম সুমন এবং কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে মাহমুদুর রহমান উজ্জ্বল।
এর আগে ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর ৫৭ প্রার্থীর মধ্যে ২১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তাঁদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে ১২ জন প্রার্থিতা ফেরত পান।