সিরাজগঞ্জে ২৫ ভোটে হারের পর ফল প্রত্যাখ্যান, সড়কে বিক্ষোভ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মাত্র ২৫ ভোটের ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় কারচুপির অভিযোগ এনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) মীর সেরাজুল ইসলাম।
গতকাল সোমবার বিকেলে নির্বাচনী ফল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সেরাজুলের সমর্থকরা। এর আগে জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলেন সেরাজুল।
গত রোববার অনুষ্ঠিত ভোটের ফল অনুসারে ৩৭ হাজার ৭৪৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন নুরুল ইসলাম সাজেদুল (দোয়াত-কলম প্রতীক)। অন্যদিকে সেরাজুল ইসলাম (আনারস) পান ৩৭ হাজার ৭২৩ ভোট। এ ছাড়া আরেক প্রার্থী আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী আকন্দ (নৌকা) পেয়েছেন মাত্র নয় হাজার ৮৩৩ ভোট।
নির্বাচনে কারচুপি ও রিটার্নিং কর্মকর্তার ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়ে সেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনে আমি বিজয়ী হলেও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রশাসন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজেদুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে গভীর রাতে ফল পাল্টে দিয়ে ২৫ ভোটের ব্যবধানে আমাকে হারিয়ে দিয়েছেন।’ অবিলম্বে কয়েকটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণ ও ফল পুনর্গণনার দাবি জানান তিনি।
অন্যদিকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা নির্বাচন অফিসার আবুল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, ‘নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরাজুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। আমরা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছি। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে নির্বাচনে কোনো কারচুপি হয়নি। আমাদের কাছে সকল প্রমাণ রয়েছে।’
এদিকে মাত্র ২৫ ভোটের ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় ফল প্রত্যাখ্যান করে এক বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন সেরাজুলের সমর্থকরা। পরে তাঁরা ঘণ্টাব্যাপী সিরাজগঞ্জ-বেলকুচি আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রাখেন। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে গাড়ি ভাঙচুর ও টায়ার জ্বালান তাঁরা। এতে করে সড়কে যান চলাচল বন্ধ ও পুরো এলাকায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নেতাকর্মীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।