হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী, দর্শনার্থীসহ অন্যদের মশার উৎপাত থেকে রক্ষায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

 রুলে বিমানবন্দরে মশা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে তানভীর আহমেদ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

‘শাহজালাল বিমানবন্দর : মশার পরান বধিবে কে?’ শিরোনামে ২৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইনে এবং ‘ছেঁকে ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা’ শিরোনামে ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোয় পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট সচিবসহ চার ব্যক্তির বরাবরে আইনি নোটিশ পাঠালেও এর জবাব না পেয়ে ৩ মার্চ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। রিটের ওপর মঙ্গলবার প্রাথমিক শুনানি হয়।

তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিমান ও পর্যটন সচিব, বেসরকারি বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিমানবন্দর-সংলগ্ন ওয়ার্ড কমিশনারকে চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদনকারীর ভাষ্য, বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বছরে ৫০ লাখ যাত্রী আসা-যাওয়া করে। এদের মধ্যে ৪০ লাখই আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করে। মশার কামড়েই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বর হয়ে থাকে। এমনকি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বরে প্রাণহানিও হয়। সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা রাষ্ট্রের অন্যতম কর্তব্য। অথচ কর্তৃপক্ষের মশা নিয়ন্ত্রণে নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা সমর্থনযোগ্য নয়। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।