দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে আরো শানিত করতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছে আইসিসি। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল সম্প্রতি ফ্রান্সের লিয়নে অবস্থিত ইন্টারপোলের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।

পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মার্শাল বলেন, ‘আইসিসি ও ইন্টারপোল একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। গত সপ্তাহে লিয়নে আমাদের বৈঠকে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আইসিসির চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। আর ইন্টারপোলকে সম্পৃক্ত করা মানে তাদের ১৯৪ সদস্য দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া।’

খেলোয়াড়দের দুর্নীতি থেকে সরিয়ে রাখতেই দুই পক্ষ কাজ করবে বলে জানিয়েছেন আইসিসির এই কর্মকর্তা, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে খেলোয়াড়দের দুর্নীতি থেকে সরিয়ে রাখা। আমাদের অনুসন্ধান কমিটি যেখানে অপরাধের প্রমাণ পাবে, আমরা সেগুলো আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে জানাব। এখানে ইন্টারপোল আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।’

ইন্টারপোলের ক্রিমিনাল নেটওয়ার্ক ইউনিটের ডিরেক্টর হোসে ডি গার্সিয়া বলেন, ‘আইসিসিকে সাহায্য করতে পারলে খুশি হব। খেলাধুলা মানুষকে একত্র করে। কিন্তু অপরাধীরা বড় লাভের আশায় এর সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে পারে। আইসিসির মতো বড় অংশীদারের সঙ্গে আমাদের বৈঠক এবং সহযোগিতা একটি সার্বিক ও ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করবে।’

২০১১ সালে ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তান দলের সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার হ্যান্সি ক্রনিয়ে, হার্শেল গিবসসহ অনেক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার খবর পাওয়া যায়।