কিশোরীকে সাত দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ, মূল আসামি গ্রেপ্তার
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় কিশোরীকে সাত দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ মামলার মূল আসামি মো. ইকবালকে (২৪) অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব ১৪-এর দল রোববার ভোর রাতে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার টাঙ্গুয়া গ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব ১৪-এর কোম্পানি অধিনায়ক উপপরিচালক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বি এন এম শোভন খান নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, কেন্দুয়া পৌরসভাধীন স্বল্প কমলপুর এলাকার বাসিন্দা মো. ইকবাল ওই কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঈদের পরের দিন ৬ জুন বাড়ি থেকে কৌশলে বের করে নেন। পরে স্বল্প কমলপুর থেকে সাহিতপুর যাওয়ার পথে পাকা রাস্তার পাশে সেচের গভীর নলকূপের টিনশেড ঘরে ছয় দিন আটকে রেখে তিনি ও তার বন্ধুরা ধর্ষণ করেন। ধর্ষকরা ১২ জুন গভীর রাতে কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় কেন্দুয়া-মদন সড়কের গোগবাজার জামতলা এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় কিশোরী কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় এবং ঘটনাটি খুলে বলে।
এ ব্যাপারে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে কথিত প্রেমিক মো. ইকবাল ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় মামলা করেন।
র্যাব পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। র্যাব মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে মূল আসামি ইকবালের অবস্থান শনাক্ত করার পর রোববার ভোর রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের টাঙ্গুয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব কর্মকর্তা শোভন খান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল তার বন্ধুদের নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।