অভিজিৎ রায়ের বাবা অসুস্থ, সাক্ষ্য শুরু হয়নি
লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় ছয় আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিনে আদালতে উপস্থিত থাকার কথা ছিল অভিজিতের বাবা অজয় রায়ের। তিনি মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী। তাই সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে।
আগামী ৬ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ দিন ধার্য করেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ এ মামলায় অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায়ের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সাক্ষী অজয় রায় অসুস্থ থাকায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য সময়ের আবেদন করা হয়। বিচারক শুনানি শেষে নতুন দিন ধার্য করেছেন।
পিপি বলেন, ‘সাক্ষী অজয় রায়ের সাথে আমার মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তিনি অসুস্থ থাকায় আজ আদালতে আসতে পারেননি। আগামী তারিখে তিনি আদালতে এসে সাক্ষ্য দেবেন।’
এর আগে গত ১৩ মার্চ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ মামলায় ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলা বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
অভিযোগপত্রের ছয় আসামি হলেন জিয়া, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শফিউর রহমান ফারাবি এবং আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ।
ছয় আসামির মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এ ছাড়া এ মামলায় ১৫ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান ওরফে গামা, আমিনুল মল্লিক, জাফরান হাসান, জুলহাস বিশ্বাস, আবদুস সবুর ওরফে রাজু সাদ ওরফে সুজন, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান, মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি, আবুল বাশার, মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী, সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল, অনিক ও অন্তু।
নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অভিজিতের স্ত্রী বন্যাও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশকে সহায়তা করতে ঢাকায় আসে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা-এফবিআই। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সবাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে দাবি করে পুলিশ।