বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রিত : খালেদা জিয়া
বিচারক ও বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রিত, তাই দেশে এখন আইনের শাসন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের আন্দোলনের সময় পুলিশ পেট্রলবোমা মেরেছে অভিযোগ করে জোটের নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী। আজ শনিবার রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
urgentPhoto
ইফতারের আগে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিচার বিভাগ আলাদা হলেও বর্তমান সরকারের আমলে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। বিএনপি আমলে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন ছিল।’ তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে দুই ধরনের বিচার চলছে। আওয়ামী লীগের লোকেরা অপরাধ করলেও তাদের কোনো বিচার হয় না, আর অপরাধ না করেও হয়রানির শিকার হচ্ছে বিরোধী নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ছিল আগে। তখন তাঁরাই ছিলেন সব। এখন পার্লামেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিচারকদের অপসারণের জন্য। তার মানে আরো বেশি নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই আজকে বিচারকরা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত। সে জন্য আজকে দেশে ন্যায়বিচার নেই, আইনের শাসন নেই।’
খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না বরং অতীতে এই রেকর্ড আছে আওয়ামী লীগেরই। আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশই বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা ঘটিয়েছে বলে আবারও অভিযোগ করেন তিনি।
২০-দলীয় জোট নেত্রী আরো বলেন, ‘এই তিন মাসের আন্দোলন বন্ধ হতো না। পুলিশ বাসে আগুন দিয়েছে, পুলিশ নিজে শিকার করেছে। পেট্রলবোমা মেরেছে পুলিশ। মানুষ হত্যা করে বিএনপি ও ২০-দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করে নানাভাবে হয়রানি করেছে পুলিশ। কিন্তু এই পুলিশের নামে কেন মামলা হয় না? পুলিশকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় না? তাহলে আজকে আমার নেতাকর্মীদের ছেড়ে দেওয়া উচিত। এই দেশে প্রথম গানপাউডার দিয়ে চলন্ত বাসে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়নি? আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষকে মারেনি? কত গাড়িতে আগুন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ১৯৯৫-৯৬ সালের ঘটনা আপনারা দেখেন।’
এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবারও অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের জন্য আহ্বান জানান।
বার কাউন্সিলের আসন্ন নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী প্যানেলকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান খালেদা জিয়া। ইফতারের আগে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনায় দোয়া করা হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।