আবরার ফাহাদ হত্যায় ছাত্রলীগ নেতা রবিনের জবানবন্দি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি মেহেদী হাসান রবিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের খাসকামরায় রবিন এ স্বীকারোক্তি দেন। জবানবন্দি শেষে রবিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
স্বীকারোক্তি দেওয়া মেহেদী হাসান রবিন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি মামলার ৪ নম্বর আসামি। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কাপাসিয়া গ্রামের মো. মাকসুদ আলী ও রাশিদা বেগমের ছেলে। বুয়েটের শেরেবাংলা হলের এই বাসিন্দা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫তম ব্যাচের ছাত্র।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পরের দিন ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। সে রাতেই বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১১ জনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। আজ বুয়েট ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপসম্পাদক ও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অমিত সাহাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এর আগে আরো চারজন জবানবন্দি দিয়েছেন। এঁরা হলেন মামলার ৫ নম্বর আসামি বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ৭ নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ৩ নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার এবং ৯ নম্বর আসামি মুজাহিদুর রহমান।
আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে থাকা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গতকাল কারাগারে পাঠানো হয়। আসামিরা হলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সম্পাদক মুহতাসিম ফুয়াদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না এবং সদস্য মুনতাসির আল জেমি ও কর্মী খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর। গত ৮ অক্টোবর ওই পাঁচ আসামি ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া পাঁচ আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
এ ছাড়া গতকাল আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আরো দুই আসামি মো. মুয়াজ আবু হুরায়রা ও শামীম বিল্লাহর পাঁচ দিন করে রিমান্ড দেন আদালত।