চট্টগ্রামে জট খুলল চিকিৎসক শাহ আলম হত্যা রহস্যের
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গরিবের বন্ধু বলে খ্যাত চিকিৎসক ডা. শাহ আলম হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব। ঘটনার প্রধান আসামি মনসুর পরিবহনের চালক মো. ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। যাত্রী পরিবহনের নামে ছিনতায় ঘটনার সময় বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে চিকিৎসক শাহ আলমকে খুন করা হয়েছে বলে জানান ফারুক।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর চান্দগাঁও র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাশকুর রহমান।
র্যাব জানায়, সীতাকুণ্ড নিজ গ্রামে অসহায় মানুষের সেবা করে প্রতিদিনের মতো গত ১৭ অক্টোবর শহরে ফিরছিলেন ডা. শাহ আলম। যাত্রী পরিবহনের কথা বলে ছোট কুমিরা থেকে মনসুর পরিবহনে শহরে আসার পথে চালক মো. ফারুকসহ আরো কয়েকজন সহযোগী তাঁর সর্বস্ব ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিলে ছুরিকাঘাত করে কুমিরা ঘাটঘর এলাকায় লাশ ফেলে দেওয়া হয়। চট্টগ্রামে আলোচিত চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় র্যাবের হাতে আটক প্রধান আসামি ফারুক বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
উল্লেখ্য, অর্থবিত্ত আর সম্মান পেছনে ফেলে দীর্ঘ ২০ বছর পর দেশে ফিরে এসেছিলেন চিকিৎসক শাহ আলম। স্বপ্ন ছিল গ্রামের অসহায় মানুষের সেবা করবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন সত্যি হতে দেয়নি ঘাতকরা। অত্যন্ত ঠাণ্ডা ও শান্ত প্রকৃতির ডা. শাহ আলম সৌদি আরবের মদিনা হাসপাতালে শিশু বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিজ এলাকার মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে মদিনার চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে এসে কুমিরার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি আধুনিক ও মানসম্মত শিশু সেবা ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।