অর্থ আত্মসাতের মামলায় উপসহকারী প্রকৌশলীসহ দুজনের কারাদণ্ড
ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় ঢাকা জেলা পরিষদের উপসহকারী প্রকৌশলীসহ দুজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
বিচারক রায়ে উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামানকে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া মেসার্স লিয়া এন্টারপ্রাইজের এম জয়নাল আহমেদকে পেনাল কোডের ১৮৬০ সালের ৪০৯/১০৯ ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। আসামি জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে আরো এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগের নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, মোজাম্মেল মজুমদার নামের এক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রায়ে দণ্ডপ্রাপ্তদের অসাধু উপায়ে অর্জিত আট লাখ ৭৬ হাজার ২৭০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে এম জয়নাল আহমেদ রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান পলাতক থাকায় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
এজাহার থেকে জানা যায়, পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজ মিরপুর-১৩-এর উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে সরকারি আট লাখ ৭৬ হাজার ২৭০ টাকা অতিরিক্ত উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে এম জয়নাল আহমেদ ও আসাদুজ্জামানকে আসামি করে ২০১৫ সালের ৭ মে উত্তরা (পূর্ব) থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক মামলাটি দায়ের করেন।