ফরিদপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আম্পান ঝড়ে পড়ে থাকা সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তবে গাছ কাটার অভিযোগ প্রতিপক্ষের সৃষ্ট বলে উল্টো অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন অবৈধভাবে কাটা গাছের গুঁড়িগুলো জব্দ করেছে।
দাদপুর গ্রামের ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ইউনিয়নের সড়কগুলো ওপর সরকারি গাছ গোপনে কেটে বিক্রি করেন চেয়ারম্যান। গাছগুলো বিক্রির পর সেগুলো নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী আটক করে স্থানীয় প্রশাসনকে জানায়। পরে সরকারি লোক এসে তা জব্দ করে।’
দাদপুর গ্রামের মো. বাশার শেখ অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলার ময়েনদিয়া-কানাইপুর (এলজিডি) সড়কের দাদপুর এলাকায় রাস্তার ওপর থাকা মরা গাছ চেয়ারম্যানকে ঝড়ের আগে গাছ কাটার কথা বললেও তিনি আমাদের কথা শোনেননি। এখন তাড়াহুড়ো করে সেই গাছগুলো কেটে ফেলেছে বিক্রির জন্য।’
ক্ষতিগ্রস্ত সেকেন মোল্যা বলেন, ‘ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে আমার বসতঘরটি ভেঙে যায়। এ কারণে পরিবার নিয়ে রান্নাঘরে বসবাস করছি। গত সোমবার আমি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে এ কথা বললে তিনি আমার বাড়িতে এসে ঘুরে দেখে যান। তিনি আমাকে গাছ কেটে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যেতে বলেন। লেবারের মজুরি তিনি দিবেন বলে জানিয়েছিলেন।’
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দাদপুর এলাকার সেকেন আমার কাছে এসে ঝড়ে একটি শিশু গাছ পড়ে তার বসতঘরটি ভেঙে যাওয়ার কথা জানায়। গাছ না কাটলে তার ঘরটি সংস্কার করতে পারছে না বলে জানায়। আমি সরোজমিন ঘুরে দেখে তাকে বলেছি গাছ কেটে পরিষদে পাঠিয়ে দিতে। আর গাছ কাটার শ্রমিকের টাকা আমি দিয়ে দেব।’
তিনি আরো বলেন, ‘ওই গাছ নিয়ে আমার প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তারা বলে বেড়াচ্ছে চেয়ারম্যান গাছ কেটেছে। আমি এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাচ্ছি।’
বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুসা বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি। এখন তদন্ত করে দেখা হবে বিষয়টি কতটুকু সত্য।’
এ বিষয়ে বোয়ালমারী নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, ‘গাছ কাটার বিষয়টি শুনেছি। সরেজমিনে গিয়ে দেখে তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এদিকে এরই ভেতর স্থানীয় তহশিল অফিস থেকে একটি তদন্ত দল সরেজমিনে তদন্ত করে গিয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন।