মাদারীপুরে করোনা উপসর্গে দুইজনের মৃত্যু
মাদারীপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক ব্যবসায়ী এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে শহরের ইটেরপুল বাজারের এক মুরগি ব্যবসায়ী এবং গতকাল সোমবার রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে মাদারীপুর পৌর শহরের এক মুরগি ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানিতে ভুগছিলেন। তাঁর করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা।’
এদিকে, মাদারীপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা (৩৫)। গতকাল সোমবার রাতে তিনি মারা যান।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কর্মকর্তা করোনা উপসর্গ থাকায় কয়েকদিন আগে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। তিনি রোববার সকালে সদর হাসপাতালে এসে করোনার টেস্ট দিয়ে যান এবং সোমবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।
তাঁর শ্বশুর বলেন, ‘গত ২৪ মার্চের পরে জামাই আমার বাসায় চলে আসে। সেই থেকে পুরো সময়টা আমার বাসাতেই ছিল। কখনো বাসা থেকে বের হতো না। গতকাল রাতে শাসকষ্ট উঠলে জামাইকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বাসায় অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসি। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর মতো সময় পাইনি। রাত ১০টার দিকে বাসায় মারা যায়।’
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, ‘শহরের পানিছত্র এলাকায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক সরকারি কর্মকর্তা মারা গেছে। পুলিশ সদস্যরা তাঁর জানাজার সময় উপস্থিত ছিল।’
মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তি তার শ্বশুর বাড়িতে মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির পরিবারের কেউ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেনি। কেন হাসপাতালে নিয়ে আসেনি তা আমি জানি না। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির করোনা হয়েছিল কিনা তা জানার জন্য শরীরের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, জেলায় মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ২১৪ জন। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন।