কীভাবে সহজে জীবাণুনাশক তৈরি করা যায়
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর মৃত্যুর হারও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এই করোনাভাইরাসের মধ্যে দিয়ে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ ও অফিস-আদালত পরিচালনা করতে হচ্ছে। অনেকে জীবাণুনাশক বানানোর সঠিক নিয়ম না জানায় আক্রান্ত হচ্ছে করোনায়।
তবে সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা ইনফো জীবাণুনাশক বানানোর সঠিক নিয়ম জানিয়েছে। তা এনটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
জীবাণুনাশক দ্রবণ (Antiseptice Solution) তৈরির নিয়ম :
ব্লিচ ব্যবহারের মাধ্যমে : ব্লিচ বাজারে ক্লোটেক (Chlotech) ক্লোরক্স, ক্লোরেক্স ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। ব্লিচ ব্যবহার করে জীবাণুনাশক দ্রবণ তৈরির পদ্ধতি হলো :
ক) অধিক মাত্রার সংক্রামক জীবাণুনাশক দ্রবণ : (হাসপাতাল বর্জ্য বা আক্রান্ত মৃতদেহ) এক লিটার পানিতে তিন-চার চা চামচ পরিমাণ ব্লিচ মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করে নিন।
খ) স্বল্প মাত্রার সংক্রামক জীবাণুনাশক দ্রবণ : (সাধারণ গৃহস্থালি, পরিষ্কারের কাজে) এক লিটার পানিতে দুই চা চামচ পরিমাণ ব্লিচ দ্রবণ মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করে নিন।
গ) ব্লিচ পাউডার ব্যবহার করে : ব্লিচ পাউডার বাজারে পাউডার বা গুড়া হিসেবে পাওয়া যায়।
ব্লিচিং পাউডার দিয়ে দুই ধরনের জীবাণুনাশক দ্রবণ তৈরি করা যায়। একটি বেশি ঘনত্বের ১ : ১০ ঘনত্বের যা দ্বারা অধিক সংক্রামক বর্জ্য, হাসপাতালের বর্জ্য, আক্রান্ত মৃতদেহ ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত করা হয়। আরেকটি ১ : ১০০ ঘনত্বের দ্রবণ যা সাধারণ পরিষ্কারের কাজ যেমন আসবাবপত্র, যন্ত্রাংশ, ফ্লোর, গাড়ি ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।
প্রথম ঘনত্বের দ্রবণ তৈরির নিয়ম হলো ২ লিটার পানি ১ টেবিল চামচ পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার অনুপাতে প্রয়োজন মতো দ্রবণ তৈরি করে নিন। অপরটি ২০ লিটার পানিতে এক টেবিল চামচ পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার অনুপাতে প্রয়োজন মতো দ্রবণ তৈরি করে নিন।
তবে এ মিশ্রণটি দৈনন্দিন পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহারযোগ্য। পানযোগ্য নহে। রান্না বা সংশ্লিষ্ট কাজে অ-ব্যবহারযোগ্য। শিশুদের হাতের নাগালের বাইরে রাখুন।