রাজধানীতে জাসদনেতা হত্যায় ৫ ‘ছিনতাইকারী’ গ্রেপ্তার
ঢাকার শাহবাগ থানা জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও ডিস ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম (৫৫) ছিনতাইকারীর হাতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা রমনা বিভাগের একটি টিম গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তর মুগদা ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজন হলেন সোহেল ওরফে অ্যারাবিয়ান সোহেল, জাহিদ হোসেন, শুক্কুর আলী, শাকিল ওরফে ডুম্বাস ও সোহেল মিয়া। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু, একটি মোটরচালিত রিকশা, লুণ্ঠিত মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘হামিদুল ইসলাম ২৫ বছর ধরে সেগুনবাগিচা হাইকোর্ট এলাকায় কেবল টিভি নেটওয়ার্কের ব্যবসা করতেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিনি সেগুনবাগিচা এলাকায় থাকতেন। তিনি জাসদের শাহবাগ থানা এলাকার সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।’
‘হামিদুল ইসলাম গত ২৩ জানুয়ারি পুরান ঢাকায় অবস্থিত তাঁর ফ্ল্যাটের ভাড়া তুলে বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হন। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়। ডিবি রমনা বিভাগ এই মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে।’
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার দিন মোটরচালিত রিকশায় করে হাইকোর্ট মাজার গেটের বিপরীত পাশে এসে অবস্থান করে। শাকিল মোটরচালিত রিকশা নিয়ে সেখানে অপেক্ষা করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাকি চারজন হাইকোর্টের ঈদগাহ মাঠের সামনে ফুটপাতের ওপরে হামিদুর রহমানের গতিরোধ করে তার কাছে থাকা একটি স্যামসাংয়ের ২১-এস মোবাইল ফোন ও পকেট থেকে মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।’
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘ছিনতাইকারীরা হামিদুল ইসলামের পকেটে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি চিৎকার করেন। তখন গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মিয়া তার কাছে থাকা চাকু দিয়ে ভিকটিমের পায়ে ও হাতে আঘাত করে। ভিকটিমকে ফেলে রেখে ছিনতাইকারী দল দ্রুত পালিয়ে যায়। এরপর পথচারীরা আহত অবস্থায় হামিদুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাফিজ আক্তার।