কুষ্টিয়া করোনা হাসপাতালে ১২ হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা নষ্ট
কুষ্টিয়া করোনা হাসপাতালে ১২টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা নষ্ট হয়ে গেছে। কয়েক দিন ধরে এগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এগুলো মেরামতে দেখা দিয়েছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে সরকারিভাবে ১৪টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা ছিল। হাসপাতালে রোগী ভর্তি বেশি হওয়ায় এই যন্ত্রের প্রয়োজন আরও বেড়ে যায়। জেলার করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগে আরও ২০টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে অনুদান দেয়। সব মিলিয়ে ৩৪টি যন্ত্র হয়। এর মধ্যে ৩০টি যন্ত্র রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। বাকি চারটি স্থাপন করা হয়নি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলাগুলো ব্যবহার করতে গিয়ে গত কয়েক দিনে অন্তত ১২টি নষ্ট হয়ে যায়। আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ১৭৭ জন করোনা পজিটিভ ও ৭৭ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মোট রোগী ভর্তি ২২৪ জন। এই অবস্থায় হাসপাতালে হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা সচল আছে ১৮টি।
কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশরাফুল আলম জানান, নষ্ট হওয়া হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলাগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে নষ্ট হওয়া যন্ত্রগুলোর মধ্যে সরকারিভাবে পাওয়া মাত্র তিনটি। বাকিগুলো বেসরকারিভাবে পাওয়া। সরকারিগুলো মেরামতের জন্য ঢাকাতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বাকিগুলোর বিষয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসিমুল বারী বাপ্পি সহযোগিতা করছেন।
যোগাযোগ করা হলে চিকিৎসক নাসিমুল বারী বাপ্পি বলেন, ‘মেরামতের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাঁরা এগুলো হাসপাতালকে দিয়েছিলেন, তাঁদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় আরও কাগজপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। কয়েকজন টেকনেশিয়ানও যন্ত্রগুলো দেখেছেন। এগুলো মেরামতে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা খরচ হতে পারে। এই টাকা দেওয়ার জন্য এরই মধ্যে এক ব্যক্তি এগিয়েও এসেছেন। আশা করা যাচ্ছে, খুব দ্রুত সময়ে মেরামত করা হবে। যন্ত্রগুলো দ্রুত মেরামত করা গেলে রোগীদের উপকারে আসবে।’