বাংলাদেশে করোনাযুদ্ধের শেষ কোথায়?
বর্তমানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যে প্রশ্নটি সার্বক্ষণিক আমাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) যুদ্ধের শেষ কবে এবং কবে আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসব? এ প্রশ্নের নিশ্চিত উত্তর একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কারো জানা নেই। এ মুহূর্তে (৯ মে, ২০২০ সকাল) মানসিকভাবে আমরা সবচেয়ে ভয়ংকর সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, কারণ শুক্রবার আমাদের দেশে একদিনে নতুন আক্রান্তের সংখ্যাটি ছিল ৭০৯ জন, যার মধ্য দিয়ে সর্বমোট আক্রান্ত ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আমাদের দেশ দ্বিতীয় পর্যায়ে মহামারির ঊর্ধ্বগতিতে আছে, তাই প্রতিদিনকার আক্রান্তের সংখ্যাটি বাড়ন্তের দিকে। এতে ভীত হওয়ার কারণ নেই। কারণ, দুর্ভাবনা ও ভীতি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে দেয়। কারণে বা অকারণে অন্যকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে নিজের মানসিক শক্তির ক্ষয় হয়। সর্বদাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, এটাই এখন একমাত্র ঢাল।
এ লেখার সময় পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের (www.worldometers.info) দেওয়া তথ্য ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে একটি বিশ্লেষণধর্মী ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা দেখে আমরা সাধারণ নাগরিকেরা কিছুটা হলেও অনুমান করতে পারব আমাদের দেশে প্রতিদিনকার নতুন আক্রান্তের সংখ্যাটি কবে থেকে কমতে পারে। এই বিশ্লেষণমুখী ধারণাটি করতে সর্বপ্রথম একটি মহামারির জীবনচক্রের সঙ্গে পরিচিত হওয়া জরুরি। মহামারির জীবনচক্রে পাঁচটি পর্যায় থাকে : প্রথম পর্যায়—প্রাদুর্ভাব (প্রকাশ), দ্বিতীয় পর্যায়—গতিবেগ বৃদ্ধি (ঊর্ধ্বগতি), তৃতীয় পর্যায়—সর্বোচ্চ চূড়া (আনতি বিন্দু), চতুর্থ পর্যায়—হ্রাস এবং পঞ্চ পর্যায়—সমাপ্তি।
এই বিবরণীতে শুধুই প্রতিদিনকার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে আলোচনা করা হবে, কারণ মহামারির জীবনচক্রের পাঁচটি পর্যায় সহজভাবে বুঝতে গেলে এই সংখ্যাটি আমাদের সাহায্য করবে। প্রথমেই বলে নেওয়া দরকার, একটি নির্দিষ্ট তারিখ পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই বিবরণী একটি বিশ্লেষণধর্মী অনুমান মাত্র, দেশের চলমান বাস্তবতার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্পিত অনুমানগুলোর পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।
সমগ্র পৃথিবী করোনাযুদ্ধের কোন পর্যায়ে আছে
পুরো পৃথিবীতে ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্যমতে, করোনা মহামারির শুরু ২২ জানুয়ারি ২০২০। সেদিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৮০ জন। এটাকে বলা যেতে পারে প্রথম পর্যায়, মহামারির প্রাদুর্ভাব (প্রকাশ)। এই সংখ্যাটি কোভিড-১৯ গ্রাফের শুরু। এরপর সংখ্যাটি পৃথিবীজুড়ে বাড়তে শুরু করে, যেটি হচ্ছে মহামারির দ্বিতীয় পর্যায়, গতিবেগ বৃদ্ধি (ঊর্ধ্বগতি)। দ্বিতীয় পর্যায় শুরুর ৩০ দিনের মাথায় (২২ ফেব্রুয়ারি) সংখ্যাটি হয়ে যায় ৯৭৮ জন, আর ৬০ দিনের (২২ মার্চ) মাথায় হয়ে যায় ২৯ হাজার ৪৬৯ জন। ৯৩ দিনের (২৪ এপ্রিল) মাথায় এই সংখ্যাটি দাঁড়ায় এক লাখ পাঁচ হাজার ৮২৫ জন, সেদিন এটি তৃতীয় পর্যায় বা সর্বোচ্চ চূড়া (আনতি বিন্দু) স্পর্শ করে। এর পরদিন থেকেই সংখ্যাটি নামতে শুরু করে এবং বুধবার ১০৮তম দিনে (৯ মে) পুরো পৃথিবীতে সংখ্যাটি হচ্ছে ৯৭ হাজার ১২৮ জন। তাঁর মানে পৃথিবী এখন করোনা মহামারির চতুর্থ পর্যায়ে (হ্রাস-পর্বে) অবস্থান করছে এবং অন্যান্য সব বিষয় ঠিক থাকলে Ceteris Paribus) এটি সামনেই কোনো একসময় সমাপ্তির দিকে যাবে।
কয়েকটি দেশের পরিসংখ্যান প্রকাশ, চূড়ায় পৌঁছানো এবং বর্তমান পর্যায়
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, ৯ মে ২০২০ সকাল পর্যন্ত আমরা উদাহরণস্বরূপ কয়েকটি দেশের প্রতিদিনের নতুন আক্রান্তের সংখ্যাগুলো একটু পর্যালোচনা করে দেখি, তাঁরা কতদিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছে এবং এই মুহূর্তে কোন পর্যায়ে আছে।
দ্রুততম কয়েকটি দেশের উদাহরণ (১৭-৩৫তম দিনে চূড়ায়) :
দক্ষিণ কোরিয়া : প্রথম দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি ২৮ জন, ১৭তম দিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় ৮৫১ জন (৩ মার্চ); ৮৪তম দিনে (৯ মে) ১২ জন, বর্তমানে পঞ্চম পর্যায় বা মহামারি সমাপ্তির পথে।
চীন : প্রথম দিন ২২ জানুয়ারি ৫৭১ জন, ২১তম দিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় ১৪ হাজার ১০৮ জন (১২ ফেব্রুয়ারি); ১০৮তম দিনে (৯ মে) একজন, বর্তমানে পঞ্চম পর্যায় বা মহামারি সমাপ্তির পথে।
নিউজিল্যান্ড : প্রথম দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি একজন, ২৯তম দিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় ১৪৬ জন (২৮ মার্চ); ৭১তম দিনে (৯ মে) ০ জন, বর্তমানে পঞ্চম পর্যায় বা মহামারি সমাপ্তির পথে।
ইতালি : প্রথম দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনজন, ৩৫তম দিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় ছয় হাজার ৫৫৭ জন (২১ মার্চ); ৮৪তম দিনে (৯ মে) এক হাজার ৩২৭ জন, বর্তমানে চতুর্থ পর্যায় বা মহামারির হ্রাস-পর্বে আছে।
পর্যায়গুলো দেরিতে অতিক্রম করা কয়েকটি দেশের উদাহরণ (৬৯-৮২তম দিনে চূড়ায়) :
যুক্তরাষ্ট্র : প্রথম দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৫ জন, ৬৯তম দিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় ৩৮ হাজার ৯৫৮ জন (২৪ এপ্রিল); ৮৪তম দিনে (৯ মে) ২৯ হাজার ১৬২ জন, বর্তমানে চতুর্থ পর্যায় বা মহামারি হ্রাস-পর্বে আছে।
সুইডেন : প্রথম দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি একজন, ৬৯তম দিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় ৮১২ জন (২৪ এপ্রিল); ৮৪তম দিনে (৯ মে) ৬৪২ জন, বর্তমানে চতুর্থ পর্যায় বা মহামারি হ্রাস-পর্বে আছে।
পাকিস্তান : প্রথম দিন ২৬ ফেব্রুয়ারি দুই জন, আজ ৭৩তম দিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় এক হাজার ৭৯১ জন, বর্তমানে দ্বিতীয় পর্যায় বা মহামারির ঊর্ধ্বগতিতে অবস্থিত।
রাশিয়া : প্রথম দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি দুজন, ৮২তম দিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় ১১ হাজার ২৩১ জন (৭ মে); ৮৪তম দিনে (৯ মে) ১০ হাজার ৬৯৯ জন, বর্তমানে মহামারির ঊর্ধ্বগতি বা হ্রাস-পর্বে আছে (পরবর্তী দিনগুলোতে বোঝা যাবে)।
ইউরোপের কয়েকটি দেশের উদাহরণ (৪০-৫৫তম দিনে চুড়ায়) :
স্পেন : প্রথম দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি দুজন, ৪০তম দিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় ৮ হাজার ২৭১ জন (২৬ মার্চ); ৮৪তম দিনে (৯ মে) ৩ হাজার ২৬২ জন, বর্তমানে চতুর্থ পর্যায় বা মহামারি হ্রাস-পর্বে আছে।
জার্মানি : প্রথম দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৬ জন, ৪১তম দিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় ৬ হাজার ৯৩৩ জন (২৭ মার্চ); ৮৪তম দিনে (৯ মে) ১ হাজার ১৫৮ জন, বর্তমানে চতুর্থ পর্যায় বা মহামারি হ্রাস-পর্বে আছে।
ফ্রান্স : প্রথম দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি ১২ জন, ৪৮তম দিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় ১৭ হাজার ৩৫৫ জন (৩ এপ্রিল); ৮৪তম দিনে (৯ মে) ১ হাজার ২৮৮ জন, বর্তমানে চতুর্থ পর্যায় বা মহামারি হ্রাস-পর্বে।
যুক্তরাজ্য : প্রথম দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি নয়জন, ৫৫তম দিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় ৮ হাজার ৬৮১ জন (১০ এপ্রিল); ৭৩তম দিনে (৯ মে) ৪ হাজার ৬৪৯ জন, বর্তমানে চতুর্থ পর্যায় বা মহামারি হ্রাস-পর্বে।
এশিয়ার কয়েকটি দেশের উদাহরণ (৫৬-৭৯তম দিনে চূড়ায়) :
জাপান : প্রথম দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি ৫৩ জন, ৫৬তম দিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় ৭৪১ জন (১১ এপ্রিল); ৮৪তম দিনে (৯ মে) ৯৮ জন, বর্তমানে চতুর্থ পর্যায় বা মহামারি হ্রাস-পর্বে অবস্থিত।
সিঙ্গাপুর : প্রথম দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি ৭২ জন, ৬৫তম দিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় ১ হাজার ৪২৬ জন (২০ এপ্রিল); ৮৪তম দিনে (৯ মে) ৭৬৮ জন, বর্তমানে চতুর্থ পর্যায় বা মহামারি হ্রাস-পর্বে অবস্থিত।
শ্রীলঙ্কা : প্রথম দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি একজন, ৭১তম দিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় ৭১ জন (২৬ এপ্রিল); ৮৪তম দিনে (৯ মে) ১২ জন, বর্তমানে চতুর্থ পর্যায় বা মহামারি হ্রাস-পর্বে অবস্থিত।
ভারত : প্রথম দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনজন, ৭৯তম দিনে সর্বোচ্চ চূড়ায় ৩ হাজার ৯৩২ জন (৪ মে); ৮৪তম দিনে (৯ মে) ৩ হাজার ৩৪৪ জন, বর্তমানে মহামারির ঊর্ধ্বগতি বা হ্রাস-পর্বে আছে (পরবর্তী দিনগুলোতে বোঝা যাবে)।
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান, চূড়ায় পৌঁছানো ও হ্রাস-পর্ব
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে প্রশ্নটি, বাংলাদেশ কবে চূড়ায় পৌঁছাবে? ৯ মে, ২০২০ সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা যদি দেখি, সর্বমোট নমুনা পরীক্ষা ১ লাখ ১১ হাজার ৪০১ জন, সর্বমোট আক্রান্ত ১৩ হাজার ১৩৪ জন (১১.৮%), সর্বমোট মৃত্যু ২০৬ (১.৫৭%), সর্বমোট সুস্থ ২ হাজার ১০১ জন (১৬%)। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্যমতে বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত ৮ মার্চ, ২০২০ (৩ জন), ৩০ দিনের মাথায় (৮ এপ্রিল) নতুন আক্রান্তের সংখ্যাটি ছিল ৫৪ জন। ৬২তম দিনে (৯ মে) নতুন আক্রান্তের সংখ্যাটি আছে ৭০৯ জনে। কিন্তু এটাই কি আমাদের সর্বোচ্চ চূড়া, নাকি আরো কিছুদিন লাগবে সেটি সময় বলতে পারবে।
যদি আমরা ইতোমধ্যে চূড়ায় পৌঁছে না থাকি এবং ওপরের উদাহরণগুলোর মধ্যে এশিয়ার দেশগুলোর মতো আচরণ করি তাহলে ৩-২৬ মে’র (৫৬-৭৯তম দিন) কোনো একসময় চূড়ায় পৌঁছাতে পারি (অনুমান)। যদি উদাহরণের সবচেয়ে দেরিতে পৌঁছানো দেশগুলোর মতো সময় নিয়ে ফেলি তবে আমরা চূড়ায় পৌঁছাতে পারি ১৬ মে-২৯ মে’র (৬৯-৮২তম দিন) আশপাশের কোনো একসময় (অনুমান)। যদি এখানেও করোনাভাইরাস সমগ্র পৃথিবীর মতো আচরণ করে, তাহলে ৯ জুন, ২০২০ (৯৩তম দিনে)-এর আশপাশের কোনো একসময় আমরা চূড়ায় পৌঁছাব (অনুমান)। আর যদি বিশ্বরেকর্ড করার ব্যাপার ঘটে, তাহলে আরো দেরিতে!
আরেকটি ব্যাপার লক্ষণীয়, বুধবার পর্যন্ত আমাদের সর্বমোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা প্রায় এক লাখের ওপরে। প্রথম দিকে আমাদের দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল আনুমানিক ৫০০ জনের মতো, বর্তমানে যেটি আনুমানিক ছয় হাজার জনের আশপাশে। সুতরাং প্রতিদিনকার আক্রান্তের সংখ্যাটিও নমুনা পরীক্ষা বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে স্বাভাবিকভাবেই একটু বাড়তি পর্যায়ে থাকবে, এ কারণেও সর্বোচ্চ চূড়ার সংখ্যাটি পেতে হয়তো একটু দেরি হয়ে থাকতে পারে।
লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, শৃঙ্খলা যত বেশি মেনে চলা হবে, ততই দ্রুত সর্বোচ্চ চূড়া এবং হ্রাস-পর্বে চলে আসা সম্ভব। মেনে না চললে চূড়ায় পৌঁছানোর পরও হ্রাস-পর্বের গ্রাফের লেজটি আরো অনেক বেশি লম্বা হয়ে যেতে পারে। সুতরাং আমাদের দরকার সব নিয়মকানুন মেনে চলা এবং একান্তই দরকার ছাড়া বাসায় থাকা।
পঞ্চম পর্যায়, করোনার সমাপ্তি
ইতিহাস বলে, যেকোনো মহামারি কয়েক ধাপেও হতে পারে। আজকের প্রবন্ধে শুধুই কোভিড-১৯-এর প্রথম ধাপে আমাদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপের সম্মুখীন হতে না চাইলে প্রথম ধাপের সমাপ্তির পরও বেশ কিছুদিন সুশৃঙ্খলিত স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়মকানুন মেনে চলা জরুরি। একমাত্র প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কারই পারে একটি মহামারির সম্পূর্ণ সমাপ্তি টানতে।
নিজেকে ও পরিবারকে সুস্থ ও সুরক্ষিত রাখার জন্য যা করণীয়, সবকিছু নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজেদের করতে হবে। কাজেই অকারণে আতঙ্কিত হবেন না, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, সরকারের নির্দেশ মেনে চলুন, নিজেকে, পরিবারকে ও সমাজকে সুরক্ষিত রাখুন। আজ হোক, কাল হোক, ইনশাআল্লাহ্ বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
লেখক : সভাপতি, নাগরিক ঢাকা