আন্তর্জাতিক
জেরুজালেম কি করিয়া ফিলিস্তিনের হাতছাড়া হইল
অয়ি যিরুশালেমের কন্যাগণ! আমি
তোমাদিগকে দিব্য দিয়া বলিতেছি
তোমরা যদি আমার প্রিয়তমের দেখা পাও,
তবে তাহাকে বলিও যে, আমি প্রেমপীড়িতা।
—পবিত্র বাইবেল, পুরাতন নিয়ম (পরমগীত, ৫ : ৮)
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প মহাশয় বিগত ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে জেরুজালেম নগরকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকার করিয়াছেন আর তাঁহার দেশের দূতাবাস ইহার বর্তমান অবস্থান তেল আবিব হইতে জেরুজালেমে সরাইবার প্রস্তুতি গ্রহণ করিতে বলিয়াছেন। প্রকাশ থাকে ইনি একই সঙ্গে সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির—যথাক্রমে বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশ ও বারাক ওবামার—পদাংক অনুসরণ করিয়া এই স্থানান্তর আদেশ আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিতও করিয়াছেন।
সকলেই জানেন, রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তের সত্যকার প্রণেতা নহেন। এই সিদ্ধান্তের প্রকৃত মালিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ওরফে আইনসভা। জেরুজালেম নগরে দূতাবাস স্থাপনের আইনটি যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভায় পাশ হইয়াছিল আজ হইতে অন্তত ২২ বছর আগে—মোতাবেক ১৯৯৫ সালের ২৩ অক্টোবর তারিখে। সিনেটে বা আইনসভার উচ্চকক্ষে এই আইনের পক্ষে ভোট পড়িয়াছিল ৯৩ আর বিপক্ষে মাত্র ৫। নিম্নকক্ষের ভোটাভুটিতে দেখা যায় বিপক্ষে মোটে ৩৭ ভোট পড়িলেও পক্ষে পড়িয়াছিল ৩৭৪। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর ছাড়াই এই আইন—যাহার নাম ১৯৯৫ সালের জেরুজালেম এমব্যাসি অ্যাক্ট বা দূতাবাস আইন—কার্যকর গণ্য হয় ৮ নবেম্বর ১৯৯৫ তারিখ হইতে। এই আইনে উল্লেখ ছিল অন্যূন পাঁচ বছরের মধ্যে—মানে ১৯৯৯ সালের ৩১ মে তারিখের মধ্যেই—এই স্থানান্তর কর্মটা সম্পাদন করিয়া লইতে হইবে।
মার্কিন আইনসভা প্রণীত এই আইন অনুসারে জেরুজালেম হইবে ইসরাইল রাষ্ট্রের রাজধানী। এই আইনে বলা হইয়াছে জেরুজালেম নগরকে কখনও একাধিক ভাগে ভাগ করা যাইবে না। ইহার সার্বভৌমত্ব অবিভাজ্য। তো এই আইন প্রণয়নের প্রয়োজন পড়িল কেন? ১৯৯৯ সালের ৩১ মে তারিখের মধ্যে তেল আবিব হইতে জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সরাইয়া নিতে হইলে টাকা লাগিবে। আইনসভার অনুমতি লইতে হইয়াছিল সেই কারণেই।
ইসরায়েল রাষ্ট্র জেরুজালেম নগরকেই ইহার রাজধানী বলিয়া ঘোষণা করিয়াছিল বহু আগেই। বিপদের মধ্যে, দুনিয়ার বেশির ভাগ দেশই এই ঘোষণাটি মানিয়া লয় নাই। কারণ এই ঘোষণা ১৯৪৭ সালের ২৯ নবেম্বর তারিখে জাতিসংঘ গৃহিত ১৮১ নম্বর প্রস্তাবের পরিপন্থী। অন্যদিকে ইসরায়েলের সহিত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের যে আলোচনা—যাঁহার সরকারি নাম ‘শান্তি-প্রক্রিয়া’—চলিতেছে তাহা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তো এই প্রশ্নে সিদ্ধান্ত কোন দেশই এককভাবে গ্রহণ করিতে পারে না। জাতিসংঘের সর্বশেষ ভোটাভুটি অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ দেশের মত এইরকমই।
এই অবস্থায় আমরা আর কি বলিতে পারি? প্রথমেই আমাদের দেখিতে হয় সংকটের সূচনাটা হইল কি করিয়া। আমরা বেশি দূর যাইব না। শুদ্ধ প্রথম মহাযুদ্ধ পর্যন্ত যাইতে পরি। যুদ্ধটা যখন শেষ হইল তখন—অর্থাৎ ১৯১৮ সাল নাগাদ—ব্রিটিশ ও ফরাশি প্রমুখ বিজয়ী শক্তি জেরুজালেমের কর্তৃত্ব পাইল। ইহাদেরকেই সচরাচর ‘মিত্রশক্তি’ বলা হইয়া থাকে। এই শহর এয়াহুদি, নাসারা ও মুসলমান—এই তিন জাতীয় ধর্মাবলম্বীরই পবিত্র তীর্থস্থান বলিয়া বিজয়ী শক্তিটি স্বীকার করিয়াছিলেন। সেই সময় পর্যন্ত যাহার যাহা অধিকার তাহার তাহা মানিয়া চলিবার অঙ্গীকারও তাঁহারা করিয়াছিলেন। সেই দখলদারি হইতে শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিন শাসনের অধিকার ব্রিটিশ সরকারের হাতে বর্তাইল ১৯২২ সালের জুন নাগাদ। আর সমস্যারও সূত্রপাত হইল তখনই।
এয়ুরোপ মহাদেশে—বিশেষ করিয়া জার্মানিতে—এতদিন যাহার নাম দাঁড়াইয়াছিল ‘এয়াহুদি সমস্যা’ তাহার সমাধানের একটা পথ এখানে পাওয়া গেল। দুই মহাযুদ্ধের মধ্যভাগে জার্মানিতে ‘এয়াহুদি সমস্যা’ সমাধানের যে পথ হিটলার দেখাইয়াছিলেন ব্রিটিশ শাসনাধীন ফিলিস্তিনে সেই পথ অনুসরণ করিবার লোভ ফিলিস্তিনে বসতিস্থাপনকারী এয়াহুদি নেতারা সামলাইতে পারিলেন না। একটা বিষয়ে তাঁহারা হিটলারের সহিত একমত হইলেন। এয়ুরোপ মহাদেশে—যেখানে অন্যূন পাঁচ শত বৎসর ধরিয়া এয়াহুদি জাতির জনসাধারণ বসবাস করিয়া আসিতেছেন—তাহাদের স্থান হইবে না। তাহাদিগকে অন্য জায়গায় সরাইয়া দিতে হইবে। এয়াহুদি নেতারা প্রকারান্তরে এই বর্ণবাদই মানিয়া লইলেন। তাঁহারা ফিলিস্তিনকেই সেই নতুন জায়গা বলিয়া বাছিয়া লইলেন। আদিতে বিদেশি বসতকার পরিচয়ে আগমন আর শেষ পর্যন্ত বিজেতার মূর্তিধারণ—এই পথই হইল এয়াহুদি সমস্যা সমাধানের পথ। অনেকে বলিবেন, ইহা ছাড়া তাহাদের সম্মুখে আর কোন পথ খোলা ছিল না। অনেকে ইহাদের কথায় একমত হয়েন নাই। যেমন জার্মান এয়াহুদি নারী দার্শনিক হানা আরেন্ট এই মতের অনুগামী ছিলেন না। নেতাদের প্ররোচনায় নিপীড়িত যাঁহারা তাঁহারা দলে দলে চাঁদা তুলিয়া এয়ুরোপের দোজখ হইতে ফিলিস্তিনে আসিতে লাগিলেন। ইহাতে ব্রিটিশ সরকারেরও পরোক্ষ সমর্থন জুটিল।
প্রথম মহাযুদ্ধের পর ১৯২২ সালের জুন নাগাদ ‘লিগ অব নেশনস’ বা জাতিসংঘ লিগ নামক আনকোরা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রস্তাববলে ব্রিটিশ সরকার ফিলিস্তিনের উপর কর্তৃত্ব অর্থাৎ দস্তক লাভ করিয়াছিলেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর সেই লিগের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হইল এয়ুনাইটেড নেশন্স বা সম্মিলিত জাতিসংঘ। প্রকাশ থাকে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুরানা জাতিসংঘ লিগের সদস্যপদ নানা ছলে গ্রহণ করে নাই। তবে সম্মিলিত জাতিসংঘের নেতৃত্ব দিতে শুরু করিলেন তাঁহারাই। এই জাতিসংঘ এখন নতুন সমস্যার মুখোমুখি হইল। সেখানে পুরানা ‘এয়াহুদি সমস্যা’ নয়—উত্থাপিত হইল নতুন ‘ফিলিস্তিন সমস্যা’। ফিলিস্তিনিদের বাদ দিয়াই তাঁহাদের দেশে একমুখিন এয়াহুদি জাতির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করিতে হইবে। মনে হইল এয়ুরোপ যেন উহার এয়াহুদি সমস্যা পশ্চিম এশিয়ায় রপ্তানি করিয়াছে।
ব্রিটিশ শাসনাধীন ফিলিস্তিনে নতুন বসতিস্থাপনকারী এয়ুরোপিয়া এয়াহুদি নেতাদের দাবির মুখে সম্মিলিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একদিন ফিলিস্তিন দেশটিকে দুই ভাগে ভাগ করিবার প্রস্তাব পাশ করিল। এই প্রস্তাবের নম্বর ১৮১। তারিখ ২৯ নবেম্বর ১৯৪৭। এই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে দুই ভাগ করার কথা থাকিলেও খোদ জেরুজালেম শহরকে অন্তত এই বিভাগের বাহিরে রাখিয়া দেওয়া হইয়াছিল। সিদ্ধান্ত হইয়াছিল সম্মিলিত জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আলাদা কোন কর্তৃপক্ষ জেরুজালেম শহরের সার্বভৌমত্ব [কর্পুস সেপারেতুস বা আলাদা জীবত্ব] রক্ষা করিবেন।
ফিলিস্তিনের আরব অধিবাসীরা তাহাদের দেশকে ভাগ করার এই প্রস্তাব মোটেও মানিয়া লয়েন নাই। এদিকে ইসরায়েল ১৯৪৮ সালের ১৪ মে তারিখে একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ফলে কয়েক দিনের মধ্যে যুদ্ধ লাগিয়া যায়। এই যুদ্ধের ফলে ইসরায়েল আরও লাভবান হয়। যুদ্ধের মধ্যস্থতায় বসতিস্থাপনকারী এয়াহুদির নেতারা জাতিসংঘ কর্তৃক নির্দেশিত এলাকার অধিক ভূখণ্ড দখল করিতে সমর্থ হন। তাঁহারা লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনিকে দেশছাড়া করেন। ১৯৪৯ সালের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত যুদ্ধ চলিয়াছিল। ফিলিস্তিনের ইতিহাসে এই যুদ্ধ ‘নাকবা’ বা মহাপ্রলয় বলিয়া খ্যাত। কমপক্ষে ৭,০০,০০০ হইতে ৮,০০,০০০ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু হইয়া দেশত্যাগ করে। যুদ্ধশেষে দেখা গেল, জেরুজালেম শহরের অধিকাংশই—ঘটনাচক্রে যাহার পরিচয় পশ্চিমাংশ—ইসরায়েলের দখলে চলিয়া গিয়াছে। মাত্র পূর্ব জেরুজালেমেই জর্ডানের কর্তৃত্ব বজায় রহিল। ৩ এপ্রিল ১৯৪৯ তারিখে জর্ডানের সহিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হইবার পর ধরিয়া লওয়া হইয়াছিল জেরুজালেমের এই ভাগাভাগিটা নিতান্ত সাময়িক ঘটনা বৈ নহে। অনেকেই বিশ্বাস করিতেন, ফিলিস্তিন বাঁটোয়ারা বিষয়ক জাতিসংঘ প্রস্তাবে জেরুজালেম প্রসঙ্গে যে যে বিধান অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে সে সে বিধান অক্ষুণ্ণই রহিয়াছে।
১৯৪৯ সালের ২৫ এপ্রিল তারিখে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ পূর্ব জেরুজালেমকে আইন পাশ করাইয়া নিজের রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করিয়া লইলেন। এদিকে ৫ ডিসেম্বর ১৯৪৯ নাগাদ ইসরায়েলের মন্ত্রিসভাও তেল আবিব হইতে ঘোষণা করিলেন একমাত্র জেরুজালেমই হইবে ইসরায়েলের রাজধানী। ঘটনার দুই মাস না যাইতেই—২৩ জানুয়ারি ১৯৫০ নাগাদ—ইসরায়েলের আইনসভা (ওরফে ক্নেসেট) ঘোষণা করিলেন ‘জেরুজালেম অতীতে—এমনকি অনাদিকালেও—ইসরায়েলের রাজধানী ছিল।’
এদিকে তিনমাস পর—২৪ এপ্রিল ১৯৫০ তারিখে—জর্ডানের আইনসভা পূর্ব জেরুজালেম আর জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর দুইটাই জর্ডানের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলিয়া একটি আইন পাশ করেন। জেরুজালেমের স্বাধীনতা ১৯৪৭ সনের জাতিসংঘ পরিকল্পনার অংশ ছিল বলিয়া পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশই তখন ইসরায়েলের দাবি মানিয়া লয়েন নাই। তাই তাঁহারা জেরুজালেমে স্ব স্ব দেশের দূতাবাসও স্থাপন করেন নাই।
১৯৬৭ সালের জুন মাসের—তথাকথিত ছয়দিনের—যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম আর জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর দখল করিয়া লইলে পরিস্থিতির একটা গুণগত পরিবর্তন হইল। এক্ষণে গোটা জেরুজালেম ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে আসিল। ছয়দিনের যুদ্ধের আগে তো বটেই—ইহার পরও যুক্তরাষ্ট্র সরকার নগর জেরুজালেমের বিশেষ মর্যাদা লঙ্ঘন করিতে রাজি হয়েন নাই। তাঁহারা বারংবার ঘোষণা করিয়াছিলেন জেরুজালেম নগর ১৯২২ সালে জাতিসংঘ লিগ কর্তৃক ব্রিটিশ সরকারকে প্রদত্ত আদি ফিলিস্তিন দস্তকের অন্তপাতী ছিল বিধায় ইহার আইনগত সার্বভৌমত্ব অন্য কোন দেশের উপর কদাচ বর্তাইতে পারে না।
ইসরায়েল এক্ষণে গোটা ফিলিস্তিনের উপর দখল কায়েম-মোকাম করিলেও শুদ্ধমাত্র পূর্ব জেরুজালেমকে আপনকার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলিয়া আইন পাশ করিয়াছেন। বলা প্রয়োজন, ইহার সঙ্গে সিরিয়ার হাত হইতে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে কাড়িয়া লওয়া ‘গোলান মালভূমি’ অঞ্চলকেও তাঁহারা অবিচ্ছেদ্য অংশ মর্যাদায় গ্রহণ করিয়াছেন। তুলনা করিলে দেখা যাইবে, ভূমধ্যসাগর তীরের গাজা নামক এক চিলতা ভূমি আর জর্ডানের পশ্চিম তীর দখলে রাখিলেও তাঁহারা সার্বভৌম অধিকারভুক্ত বলিয়া ঘোষণা করেন নাই। অথচ অধিকৃত জমিতে এয়ুরোপ হইতে আগমনশীল এয়াহুদি জনগণের জন্য বাসস্থান নির্মাণ চালাইয়াই যাইতেছেন। এক কথায় ইসরায়েলের প্রকৃত মনোভাব কি বুঝা মুশকিল।
মার্কিন দেশের রাজনীতিতে এতদিন একটা টানাপোড়েন লক্ষ করা যাইতেছিল। জেরুজালেমে দূতাবাস সরাইয়া লইবার পক্ষে আইন পাশ করিবা সত্ত্বেও একের পর এক মার্কিন সরকার এই আইনের প্রয়োগ বহুবার স্থগিত করিয়াছেন। স্থগিত না করিলে তাঁহারা যে এই প্রশ্নে নিরপেক্ষ আছেন সেই ভাবমূর্তি রক্ষা করাটা বড় দায় হইয়া পড়ে। ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ নাগাদ রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প যে ঘোষণা পৃথিবীতে রাষ্ট্র করিয়াছেন তাহাতেই মনে হয় মার্কিন রাজনীতির পুরানা ভারসাম্যে একটা পরিবর্তন আসিয়াছে।
এই পরিবর্তন সম্ভব করিবার পিছনে ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের দায়ও কিছু কম নয়। ফিলিস্তিনি নেত্রী হানান আশরাফির লেখা ‘শান্তির অপর পিঠ’ (‘দি আদার সাইড অব পিস’) নামক পুস্তকেও ইহার কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণ লিপিবদ্ধ হইয়াছে। পরলোকগত অধ্যাপক এডোয়ার্ড সায়িদ কিংবা কবি মাহমুদ দরবেশ প্রভৃতি একই কথা নানান ছলে নানান ভাষায় বলিয়াছেন। দুঃখের মধ্যে, আজিকার নিবন্ধে স্থানাভাব বলিয়া সে সকল কথা লিখিতে পারিলাম না।
২ জানুয়ারি ২০১৮
(সংশোধিত দ্বিতীয় সংস্করণ)
লেখক: অধ্যাপক, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে