প্রকৃতি
সুন্দরবন রক্ষার সংগ্রাম, জাতীয় মুক্তির দিশা
সুন্দরবন নিয়ে পরপর অনেক আয়োজনে কথা বলতে বাধ্য হলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সতর্কতা বিষয়ে অনেক গালভরা আশ্বাসও দিলেন। কিন্তু তার পুরোটাই যে মেকি প্রতিশ্রুতি, একদিন যেতে না-যেতেই নিয়তি তা হাতেনাতে দেখিয়ে দিল।
সুন্দরবনসংলগ্ন পশুর নদে ২৭ অক্টোবর আরো একটা কার্গোডুবি হয়েছে। এটাতে ছিল ৫১০ টন কয়লা। কয়লা এমনকি জ্বালানি তেলের চেয়েও বহুগুণ বেশি দূষণ সৃষ্টিকারী বস্তু, যার রাসায়নিক বিষগুলো দ্রুতই পানিতে দ্রবীভূত হয়।
রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে এমন শত শত কয়লাবাহী নৌযান এই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করবে। কোনো দুর্ঘটনা যদি নাও ঘটে, কেবল এই চলাচলের কারণেই সুন্দরবন বিপর্যস্ত হবে, আরো বিপর্যস্ত হবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ধোঁয়া থেকে সৃষ্টি পরিবেশদূষণে। কর্তাদের গালভরা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি যে দূষণ মাত্র ১০ ভাগ হ্রাস করে, তেমন প্রশ্ন করার মতো কেউ তাদের আশপাশে হয়তো থাকে না। কিন্তু এই তথ্যের ওপর বাংলাদেশের জীবন-মরণ সুন্দরবনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
আর কী বলার আছে! কদিন আগে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের চেষ্টার প্রতিবাদে বাম মোর্চার রোডমার্চের ওপর হামলা-নিপীড়ন চালানো হয়েছিল ভারতকেই আশ্বস্ত করার জন্য। বোঝানোর জন্য যে সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার পরপরই মানিকগঞ্জে এই হামলা শুরু হয়; চলতে থাকে মাগুড়া-ঝিনাইদহ-যশোর পর্যন্ত। পুলিশ সাইফুল হক, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, মোশরেফা মিশু, জোনায়েদ সাকীর মতো নেতাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে, অজস্র কর্মীকে আহত করেছে। রোডমার্চে অংশগ্রহণকারীদের গাড়ি থেকে বহু স্থানে মাটিতেই নামতে দেওয়া হয়নি, ১৭ অক্টোবর এমনকি তাদের খাবার সুযোগও দেওয়া হয়নি সারা দিন। পুলিশ-র্যাব-বিজিবির অনেক গাড়ি দিয়ে পুরো রোডমার্চের বহরকে ঘিরে ফেলে তাদের কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় এক থানা থেকে আরেক থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অথচ কোথাও সরকার কোনো ১৪৪ ধারা জারি করেনি, সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। এভাবে জনগণের মত প্রকাশ, চলাচলের অধিকার এবং সমাবেশের অধিকারকে দারুণভাবে লঙ্ঘিত করা হয়েছে।
এই দমন-পীড়ন যে জনগণের মাঝে ক্ষোভ এবং প্রশ্নের মাত্রাকে আরো ঘনীভূত করেছে, সেটাও যে সরকার টের পেয়েছে, তা বোঝা যায় সরকারি নানা তৎপরতায়। ওই হামলাকে ন্যায্য করার জন্য নসরুল হামিদ বিপুসহ সরকারি পক্ষ থেকে সুন্দরবন নিয়ে জনগণকে তাই এসব আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি বারংবার পুনর্ব্যক্ত করতে হচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে জোরসে চলছে সুন্দরবনকে ধ্বংস করার কাজটা। ওদিকে সংসদের সংসদীয় কমিটিরও খুব তাড়া, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র তাড়াতাড়ি বাস্তবায়ন করা নিয়ে।
এটা খুব কাকতালীয় না যে বাম মোর্চার রোডমার্চের ওপর লাগাতার হামলা আর প্রতিমন্ত্রীর সর্বশেষবার হাওয়াই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার দুদিন না যেতেই এ দুর্ঘটনা ঘটল। এটা আসলে কোনো দুর্ঘটনাই না, এটাই আসলে ঘটনা, যা এত স্বাভাবিক যে, যেকোনো মুহূর্তেই তা ঘটতে পারে।
বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতা আর নানা চক্রান্তের সঙ্গেও এর প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টির মহাজোট এখন হুমড়ি খেয়ে পড়েছে দেশটার ওপর। অন্য কোনোদিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় তাদের নেই। জনগণের দৃষ্টি যেন এদের এই গোগ্রাসে গিলে খাওয়ার দিকে না থাকে, সে জন্যই দেশে ঘটে যাচ্ছে মনোযোগ সরানোর মতো যাবতীয় ঘটনা, অন্তত আমার তাই ধারণা। নিত্যই এমন সব চাপিয়ে দেওয়া ঘটনা ঘটবে যাতে মানুষ আতঙ্কিত হয়, ক্রুদ্ধ হয়, হতাশাগ্রস্ত হয়। কিন্তু সুন্দরবনে ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে, উন্নয়ন প্রকল্পের নামে বিপুল অঙ্কের লুটপাট নিয়ে, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বানিয়ে ফেলা নিয়ে, সামগ্রিক অর্থনীতির হতাশাব্যঞ্জক চিত্র নিয়ে কোনো কথা ভাবারই অবকাশ না পায়।
কিন্তু এসব কিছুর মধ্য দিয়ে সুন্দরবনের অস্তিত্ব যে ক্রমশ বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে, অচিরেই তার পরিণতি হবে ‘চকরিয়া সুন্দরবনে’র বনের মতো অতীতের বস্তুতে, তার নানা আলামত স্পষ্ট। তেল ও সিমেন্টবোঝাই নৌযান এর আগে ডুবেছে সুন্দরবনের পেটেরই মধ্যে। মাস কয়েক আগে আন্তর্জাতিক সমীক্ষাতেই বলা হলো, গত এক দশকে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে! এই ভয়ংকর সংবাদ আমাদের দেখতে হচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হওয়ার আগেই। সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের লবণাক্ততার পরিমাণ ভারতীয় অংশের চেয়ে কম হওয়ার ফলে বাঘের টিকে থাকার জন্য অনুকূল হলেও সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশ অংশে প্রতি ১০০ কিলোমিটারে দুটি এবং ভারতীয় অংশে প্রতি ১০০ কিলোমিটারে চারটি বাঘ আছে। লক্ষণ খুব পরিষ্কার, হরিণসহ বাঘের খাবার এদিকেই বেশি থাকলেও বাঘের বিলুপ্তির স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, সুন্দরবনের নিশ্চিত মৃত্যুও এ প্রক্রিয়ায় সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সুন্দরবনের মতো জটিল একটা বাস্তুসংস্থানের মৃত্যুর জন্য কোনো একটি মহাদুর্ঘটনার দরকার পড়ে না। বছরের পর বছর আপনার আমার চোখের সামনেই ধীর অথচ নিশ্চিত প্রক্রিয়ায় সে মৃত্যুবরণ করতে পারে, সে প্রক্রিয়াটাই চলে আসছে। বনের মাঝ দিয়ে জাহাজ চলাচলের শব্দ, নৌযানের বর্জ্য তেল, বনের চারদিকে শিল্পকারখানা ও গুদাম নির্মাণ, চোরাশিকার এর গণ্ডিকে ক্রমে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলছে। বুড়িগঙ্গা নদীতে কোনো বড় দুর্ঘটনা ছাড়াই নদীটিতে সকল প্রাণের অবসান ঘটেছে, আমাদের চোখে পড়েছে কেবল দৃশ্যমান গাঙচিল উধাও হওয়ার পরেই। যা দৃশ্যমান নয়, প্রকৃতির সেসব উপাদানই খাদ্যচক্রের প্রধানতম অংশ।
এরই মাঝে আমরা শুনেছি নতুন সুন্দরবন বানিয়ে দিতে চাওয়া মন্ত্রীদের অদ্ভুত কথা। পণ্ডিতরা পর্যন্ত প্রায়ই দেখি বৃক্ষ আর অরণ্যের পার্থক্য করতে পারেন না। আনু মুহাম্মদ সুন্দরবনের গাছ নিয়ে আন্দোলন করেন, রাস্তার পাশের সামাজিক বনায়নের গাছগুলো যে বিএনপি-জামায়াত কেটে ফেলল, সেই গাছ রক্ষায় কেন জোরালো কর্মসূচি সরকারের পাশে দাঁড়ান না, তাই নিয়ে গণমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখেছিলাম এক দার্শনিককে। এ দুইয়ের তুলনার রুচি থেকে বোঝা যায়, ফ্যাসিবাদের পাশে থাকার জন্য তারা অনেকদূর পর্যন্ত আত্মসম্মান বিসর্জন দিতে রাজি আছেন।
দুনিয়ার সকল বৃক্ষই কমবেশি গুরুত্বপূর্ণ। বেআইনিভাবে গাছ জামায়াত কাটুক আর যেই কাটুক, যখনই কাটুক, রক্ষা সরকারের দায়িত্ব। প্রশাসনের দায়িত্ব। রাজনৈতিক তাণ্ডবের আকারে তা যখন ঘটবে, তাকে প্রশাসনিক শক্তির পাশাপাশি রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু এই বৃক্ষনিধনের অজুহাতে সুন্দরবনের মতো জাতীয় নয় শুধু, বৈশ্বিক সম্পদকে ধ্বংসকারী ভারত-বাংলাদেশ উভয় রাষ্ট্রের যৌথ পাঁয়তারার সঙ্গে এটা কীভাবে তুলনীয় হতে পারে, তা বুদ্ধির অগম্য। আজ সেই গাছকাটা জামায়াতের কর্মীরা দলে দলে আওয়ামী লীগে যোগদান করছেন, গাছবেচা আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের সাদরে বরণ করছেন (এ মাসেই ঝিনাইদহ, বগুড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে গাছ বিক্রির খবর প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে)। কিন্তু সুন্দরবনের মৃত্যুঘণ্টা ওদিকে বেজেই চলছে।
রাজনৈতিকভাবে দেখতে গেলে গত বছরের ৫ জানুয়ারির আগেকার বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবের সব ক্ষতির মাঝে জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াটাকেই রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে বড় পশ্চাৎগতি হিসেবে ভবিষ্যতের মানুষের কাছে বিবেচিত হবে। আওয়ামী লীগ শুধু জামায়াত-বিএনপিকে দমনে সক্ষম হয়নি, আপাতদৃষ্টে সে জাতীয় স্বার্থ বিরোধিতার তৎপরতাগুলোকেও জায়েজ করতে সক্ষম হয়েছে।
বিগত লংমার্চের পর জাতীয় কমিটির উচিত ছিল ময়দানে থাকা। সুন্দরবনসহ জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনকে সর্বদা মাঠে উপস্থিত রাখলে জামায়াত-বিএনপি একতরফা মাঠ দখল করতে পারত না। জামায়াত-বিএনপির আন্দোলন মুছে গেছে, কিন্তু এই প্রায় অনুপস্থিতির ফলে সুন্দরবনকে নিয়ে যে জোয়ার উঠেছিল, তাও ভিন্ন শোরগোলে চাপা পড়ে গেছে। সরকারকে চাপ মুক্ত রাখার জন্যই জাতীয় কমিটির মাঝের কিছু শক্তি এ ভূমিকা পালন করেছে।
জাতীয় কমিটির মাঝে সরকারের তৎপরতার অংশ ওয়ার্কার্স পার্টির উপস্থিতি জাতীয় কমিটির ভূমিকা আর গ্রহণযোগ্যতাকে মানুষের মাঝে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অন্যদিকে জাতীয় কমিটির অন্তর্ভুক্ত দুটি বামপন্থী দল ওয়ার্কার্স পার্টিকে রক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে চলছে। যথাযোগ্য কর্মসূচির অভাবে এবং সিদ্ধান্তহীনতায় জাতীয় কমিটি এখন সংবাদ সম্মেলন আর প্রতিবাদ সমাবেশে দায়িত্ব পালন করছে বট। কিন্তু এই সীমিত ভূমিকার কার্যকারিতা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন। এত কিছুর পরও জাতীয় কমিটিকেই এগিয়ে এসে এই সংকটে কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করতে হবে।
সুন্দরবন সমাজের মাঝে এত কম আলোড়ন তুলেই যেভাবে বিপন্ন হচ্ছে, সেটা আমাদের জাতীয় জীবনের মূঢ়তা, বুদ্ধিজীবীদের দেউলিয়াপনা আর মানুষ ও প্রকৃতির কাছে দায়বদ্ধহীনতার প্রতীক। কেবল মনস্তাপে এই গ্লানি কাটানো চলবে না, নতুন রাজনীতির ভিত্তি নির্মাণে একদিকে প্রগতিশীল শক্তিগুলোর ঐক্যের দিকে একদিকে যেমন গুরুত্ব দিতে হবে, অন্যদিকে নানা রকম গাঁটছড়া থেকে জাতীয় কমিটির মতো জনগণের প্রতিষ্ঠানগুলোকে মুক্ত রাখার জন্যও প্রাণপণ সংগ্রাম করতে হবে।
এই অবস্থার নিদান কী? একমাত্র প্রতিকার, জনগণের আসল প্রশ্নগুলোকে সামনে আনা। তার প্রাত্যহিক জীবনের সংকট, দেশের সামগ্রিক সংকট আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, ঘুরে দাঁড়ান, দেখবেন অপরাজনীতির বাকি সব হাওয়াই দৈত্য-দানো নিমেষে হাওয়ায় মিলিয়েছে, কেবল যদি জনগণের রাজনীতিকে সামনে নিয়ে আসা যায়।
দেশের অজস্র সংকটেরই প্রতিভূস্বরূপ যেন সুন্দরন। সুন্দরবনকে ধ্বংস করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্পকে আমরা দেশের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করি। আমাদের বর্তমান আর ভবিষ্যৎকে লুণ্ঠনের স্বার্থে এইভাবে ধ্বংসের পাঁয়তারার বিরুদ্ধে তাই মানুষের ক্ষোভ কেন্দ্রীভূত করতে হবে।
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হন আর আপনার সন্তান যদি বাংলায় কথা বলতে শেখে তো সে একদিন অবশ্যই জিজ্ঞেস করবে, সুন্দরবন ধ্বংসের এই আয়োজনের সময় তুমি নীরব থাকনি তো! যদি সে ভিন্ন ভাষাভাষী হয়েও বেড়ে ওঠে, শুধু শেকড়ছাড়া না যদি হয়, এই গ্রহটাকে নিজের ঘর বলে কেবল যদি চিনতে শেখে, সেও জানতে চাইবে, এই বিপর্যয় তোমরা কীভাবে ঠেকাতে চেয়েছিলে? তোমার কী ভূমিকা ছিল?
যেমন আজকে আমরা জানতে চাই, আমাদের আগের প্রজন্মের কাছে, ৫২-৬২-৬৯-৭১ এ তোমরা ঠিক জায়গায় দাঁড়িয়েছিলে তো? চুপ করে ছিলে না তো!
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সুন্দরবন রক্ষার রোডমার্চে হামলা হয়েছে বলে, পথে পথে পুলিশ পিটিয়েছে বলে সুন্দরবনকে রক্ষার দায় কেবল তাদের একার নয়। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে রোডমার্চের গাড়িবহরসহ যখন ঘেরাও করে অনিশ্চিত গন্তব্যে সারা দিন চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো, আপনার উদ্বেগ, আপনার ঘৃণা প্রকাশ করেছিলেন তো? আপনি পদার্থবিদ্যা কি ইতিহাসের শিক্ষক হন, সাহিত্যিক হন, কর্মকর্তা কি কর্মচারী হন, শিল্পপতি কি শিক্ষার্থী হন, সংবাদকর্মী কি চলচ্চিত্রকার অথবা চিকিৎসক, সুনিশ্চিত এই প্রশ্নের মুখোমুখি সবাইকেই হতে হবে। সুন্দরবন রক্ষার সংগ্রামের পথেই জাতীয় মুক্তির দিশা।
লেখক : সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, কেন্দ্রীয় সদস্য, গণসংহতি আন্দোলন।