দক্ষিণ কোরিয়ায় ইপিএস বাংলা কমিউনিটির সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ইপিএস (এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম) বাংলা কমিউনিটির আয়োজনে সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত রোববার অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিমরোক হোয়ান পরিচালক এইচ আর ডি কোরিয়া, কিম ইয়ং বো ম্যানেজার এইচ আর ডি কোরিয়া, খাং সাং হয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার এইচ আর ডি কোরিয়া, মুন জি সু ইন্সপেক্টর গুরু পুলিশ স্টেশন, লি জে চুন শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ সং জিন ইমিগ্রেশন আইন বিশেষজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে কোরআন তিলাওয়াত করেন ইপিএস বাংলা কমিউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান উপদেষ্টা ফজলুর রহমান। এর পরে সেমিনারে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইপিএস বাংলা কমিউনিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া ও সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক আহমেদ।
আমন্ত্রিত অতিথি কিম ইয়ং বো বলেন, ইপিএস ভিসা আসায় কর্মীদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেশে ফিরে কীভাবে দেশে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়, তা নিয়ে এইচআরডি কোরিয়া হ্যাপি হোম রিটার্ন চালু করেছে।
অনুষ্ঠানে মুনজিসু ইন্সপেক্টর গুরু পুলিশ স্টেশন দক্ষিণ কোরিয়ার আইনকানুন সম্পর্কে উপস্থিত বাংলাদেশিদের ধারণা দেন এবং সবাইকে মেনে চলার আহ্বান জানান।
আমন্ত্রিত অতিথি লি জে চুন বলেন, ইপিএস কর্মীদের কোরিয়ায় কোম্পানিগুলোর শ্রম আইনগুলো মেনে চলে কাজ করা এবং কোম্পানির মালিকগুলো আইন ভঙ্গ করলে তা প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে অবহিত করেন।
আমন্ত্রিত অতিথিরা কোরিয়ান ভাষায় বক্তব্য দেন। তাই এর অনুবাদক হিসেবে বাংলা ভাষায় উপস্থিত সকলকে বুঝিয়ে দেন ইপিএস বাংলা কমিউনিটি সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদসহ কোরিয়ান ভাষায় দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা।
সেমিনারটি উপস্থাপনা করেন কামরুল হাসান রাজ। সেমিনার সফল করতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন ইপিএস বাংলা কমিউনিটির সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম রনি, সাবেক সভাপতি শান্ত শেখ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, ইপিএস বাংলা কমিউনিটির সহসভাপতি আলামিন, ইন্সপেক্টর আমিনুল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাজু, যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হাসান, জাহিদসহ একঝাঁক চৌকস ইপিএস বাংলা কমিউনিটির নেতা।
সেমিনারে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিভিন্ন সিটি থেকে ইপিএস ভিসায় আসা বাংলাদেশিদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানটি।