অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি
ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনা ও প্রতিরোধের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সম্প্রতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই কমিটি গঠন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেশ-বিদেশ পত্রিকার সম্পাদক বদরুল আলমকে কমিটির আহ্বায়ক এবং বিদেশ বাংলার সম্পাদক আবদুল মতিনকে সদস্য সচিব করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে অনেকে পুরোনো কমিটিকেই সমর্থন করছেন।
অনুষ্ঠান ঘিরে সিডনিসহ সমগ্র অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী সাংবাদিকদের মধ্যে ছিল তীব্র মনোমালিন্য। কারো প্রশ্ন ছিল সংগঠন নিয়ে, আর কারো প্রশ্ন ছিল এর দায়বদ্ধতা নিয়ে। সভাপতির বক্তব্যে সিনিয়র সাংবাদিক রেজা আরেফিন সবার মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেছেন। বিতর্কের মুখে স্বেচ্ছায় কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহার করেন আনিছুর রহমান, হাছান তারেক ও কাজী সুলতানা সিমি প্রমুখ।
এর আগে গত ২ নভেম্বর সিডনির স্থানীয় একটি হেটেলে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ কমিউনিটির সব সংবাদমাধ্যমের প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের বৈঠকে কমিটির সিদ্ধান্ত হয়। নবীন অনেক সাংবাদিক ওই বৈঠকের তীব্র সমালোচনা করেন।
আহ্বায়ক কমিটি এনটিভিকে জানিয়েছে, একটি প্রতিষ্ঠানের ১০ জন সাংবাদিককে বলার প্রয়োজন পড়ে না যদি সেখানে পত্রিকার প্রধান সম্পাদক উপস্থিত থাকেন। বাংলাদেশের কোনো সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি থাকলে তাঁদের জন্য আমাদের সাধারণ সদস্যপদ সব সময় খোলা থাকবে।
২ নভেম্বরের অনুষ্ঠিত বৈঠক ও সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন প্রতিনিধিদের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন আয়োজকরা। কেন সেই বৈঠকে নতুনদের পাশ কাটিয়ে প্রবীণদের অংশগ্রহণ ছিল? অনেক সাংবাদিক সেদিনের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে নতুন কমিটির আশা ব্যক্ত করেন।
কমিটি নিয়ে বিতর্কে যুক্ত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী লেখক, সাহিত্যিক ও সমাজসেবকরাও, যার মধ্যে আছেন ড. নারগিস বানু, আনিছুর রহমান ও রহমত উল্লাহ। ড. নারগিস বানু ও আনিসুর রহমানের যে যুক্তি ছিল তার তেমন নির্ভরযোগ্য উত্তর দিতে ব্যর্থ হন কাউন্সিলের কর্মকর্তারা।
লেখক, সাহিত্যিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোনো কমিটিকেই সমর্থন করে বক্তব্য দেন। এর মধ্যে আছেন এনটিভি অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কর্মকর্তা রাশেদ শ্রাবণ, ড. কাইউম পারভেজ, অ্যাডভোকেট মোবারক হোসেন, রতন কুণ্ডু, মিল্টন হাসনাতসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা।