শুরুতে আশা জাগালেও এখন নিরাশা শেয়ারবাজারে
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। পরে গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিকে পুঁজিবাজারে লেনদেনের অবস্থা ভালো ছিল। সূচকেও ছিল উত্থান। সেই উত্থান পরে পতনে নেমে আসে। পতনের ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এমন অবস্থায়ও পুঁজিবাজারে বেড়েছে নতুন বিনিয়োগকারী। এর মধ্যে পার হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই তিন মাসের পুরোটা সময় পুঁজিবাজারের কারসাজি চক্ররা ছিল সক্রিয়। বিভিন্ন ফাঁকফোকরে বিনা কারণে বেড়েছে অর্ধশত কোম্পানির শেয়ারদর। অন্যদিকে, শেয়ারদর হারানো কোম্পানিগুলোর তালিকাও ছিল লম্বা। যেখানে নামিদামি কোম্পানি বেশি ছিল। দরপতনের ধারা ও চক্রের কারসাজিতে বিনিয়োগকারীদের দিন কাটাতে হচ্ছে পুঁজি হারানোর ভয়ে। এমন শঙ্কায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর পুঁজিবাজার যেন নতুন প্রাণ পেয়েছে জানিয়ে পুঁজিবাজারের বিশ্লেষকরা বলেন, বর্তমান সরকারের শুরুতেই পুঁজিবাজার লেনদেন ও সূচকে উত্থান ছিল। বেড়েছিল বাজারে মূলধন। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছিল। শুরুর উত্থানে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন আশা দেখা গিয়েছিল। এতে করে অল্প সময়ে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। কিন্তু, সময়ের পালাক্রমে ফিরে আসে পুঁজিবাজারের পুরোনো পতন।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) হুটহাট সিদ্ধান্তের কারণে এমন পতন হয়েছে জানিয়ে বিশ্লেষকরা বলেন, মূল্য সংবেদনশীল তথ্য পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা বাস্তবায়নে বিএসইসি তাড়াহুড়ো করেছে। আবার বিএসইসির বেশকিছু পদক্ষেপ পুঁজিবাজারের পতন আনতে সহায়তা করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিএসইসি ২৭টি কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনার আগে তাদের সঙ্গে সংলাপ জরুরি ছিল। এ ছাড়া পতনের জন্য পুঁজিবাজারের আরও কয়েকটি বড় কারণ ছিল। সেগুলো হলো—ব্যাংক খাতে উচ্চ সুদহার, মার্জিন ঋণের বিপরীতে কেনা শেয়ার বেচা, তারল্য সংকট, বিএসইসিতে বিশৃঙ্খলা ও বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা।
গত ১৮ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর শুরুতে লেনদেন সাতশ-আটশ কোটির ঘরে ছিল। সেই লেনদেন ২ সেপ্টেম্বর হাজার কোটি টাকার ঘরে অবস্থান করেছিল। পরে সেটি তিন-চারশ কোটির ঘরে নেমে আসে। সেখান থেকে বেড়ে লেনদেন গত ৭ নভেম্বর পাঁচশ কোটি টাকার ঘরে অবস্থান করে। ধারাবাহিকভাবে সূচকের দরপতন। গত ১১ আগস্ট প্রধান সূচ ডিএসইএক্স ছিল ছয় হাজার ১৬ পয়েন্টে। যা গত ৭ নভেম্বর ডিএসইএক্স দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে। এই সময়ের ব্যবধানে ডিএসইএক্স পতন হয় ৭০০ পয়েন্ট। অপরদিক সাত লাখ কোটি ১৩ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন কমে গত ৭ নভেম্বর দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকায়।
পুঁজিবাজারের এ ধরনের পতনকে কেন্দ্র করে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের হুটহাট সিদ্ধান্তকে দায়ী করে আসছেন বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারের অব্যাহত দরপতন থেকে মুক্তি পেতে ধারাবাহিক মানববন্ধন করছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।
মানববন্ধনে ঐক্য পরিষদের নেতারা বলছেন, ধারাবাহিক দরপতনে পুঁজি হারিয়ে ইতোমধ্যে হিমশিম খাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারে লেনদেন করতে ভয় পাচ্ছে তারা। কারণ, পুঁজিবাজার এখন অস্বাভাবিক আচরণ করছে। বোঝা যাচ্ছে না, কোন শেয়ার বাড়বে বা কোনটা কমবে। দরপতনের এমন পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে বিনিয়োগকারীরা। তাই, পুঁজিবাজারের পতন ঠেকাতে বিএসইসির কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি। ঐক্য পরিষদের নেতারা শিগগিরই পুঁজিবাজারে দরপতন থামানোর কথা বলেন। সেটি না পারলে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে পদত্যাগ করতে বলেন তারা।
শীর্ষ ছয় সিকিউরিটিজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীরা বলেন, বিএসইসির নতুন কমিশন এখন পর্যন্ত যত পদক্ষেপ নিয়েছে, তা সবই সংস্কারকে কেন্দ্র করে। যার সুফল এখনও আসেনি। হয়তো আসবে, তার জন্য সময় লাগবে। বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ এখন বিনিয়োগে আসছে না জানিয়ে তারা বলেন, অনেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এখন নিষ্ক্রিয় থেকে পুঁজিবাজার মনিটরিং করছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের একটি অংশ ব্যাংকের বিনিয়োগে রয়েছে। ব্যাংকগুলো এখনও মন্দাবস্থা। যার ফলে বিনিয়োগ না করে বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষা করছে।
পুঁজিবাজারে যেসব মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে, তার অধিকাংশই নিষ্ক্রিয় জানিয়ে শীর্ষ নির্বাহীরা যোগ করেন, আইসিবির বিনিয়োগের মতো আর্থিক সক্ষমতা নেই। এটি বাজারের জন্য নেতিবাচক। এর বাইরে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে সীমিত। সবমিলিয়ে বাজারে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি। যার ফলে দরপতন অব্যাহত।
এদিকে পুঁজিবাজার সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, পুঁজিবাজারের পতন রোধে করণীয় নির্ধারণে আলোচনা হয়েছে। অবিলম্বে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিনিয়োগকারীদের সরকারের পদক্ষেপে আস্থা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, সমস্যা সমাধানে তারা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। পরিকল্পনার কথা এখনই বলবেন না। দেশের পুঁজিবাজার আন্তর্জাতিক মানের হয়নি, এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশের মতো হয়নি। তারা চেষ্টা করছেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার। সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আশাবাদী তিনি।
পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও কল্যাণের স্বার্থে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সংস্কারের জন্য বিএসইসি কাজ করছে জানিয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ জানান, সবার সঙ্গে সমন্বয় করেই পুঁজিবাজারের জন্য ভালো কিছু করতে চান। নিরীক্ষকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ও শৃঙ্খলা আনতে নিরীক্ষকদের কার্যকর ভূমিকা জরুরি। বিএসইসি মেধাভিত্তিক পুঁজিবাজার গড়তে কাজ করছে।
গত তিন মাসের পুঁজিবাজার সার্বিক চিত্র
বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) : গত ৮ আগস্ট বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮৯৫টি। যা গত ৬ নভেম্বর বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৭৮ হাজার ২৪৩টি। এই সময়ে ব্যবধানে বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে ৯ হাজার ৩৪৮টি। গত ৮ আগস্ট একক বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৫২৩টি। গত ৬ নভেম্বর একক বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৯৫ হাজার ২৭৬টি। গত ৮ আগস্ট যৌথ বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৬৭ হাজার ২১৬টি। গত ৬ নভেম্বর যৌথ বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৬৫ হাজার ৫৮১টি। গত ৮ আগস্ট পুরুষ বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৪৯ হাজার ২০৬টি। গত ৬ নভেম্বর পুরুষ বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৬১৯টি। গত ৮ আগস্ট নারী বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাবে সংখ্যা ছিল ৪ লাখ দুই হাজার ৫৩৩টি। গত ৬ নভেম্বর নারী বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাবে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ তিন হাজার ২৩৮টি। গত ৮ আগস্ট স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ চার হাজার ৬৫৮টি। গত ৬ নভেম্বর স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৯০৭টি। গত ৮ আগস্ট প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ৮১টি। গত ৬ নভেম্বর প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ৪৬ হাজার ৯৫০টি।
লেনদেন
গত ৮ আগস্ট ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৬০৬ কোটি টাকা। পরের কর্মদিবস ১১ আগস্ট ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ১০ কোটি টাকা। সেই লেনদেন কমে গত ৩ নভেম্বর লেনদেন হয়েছিল ৪৩১ কোটি টাকা। সেখান থেকে বেড়ে গত ৭ নভেম্বর লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৫৪১ কোটি টাকা ঘরে চলে এসেছে। অবশ্য গত ১৬ অক্টোবর লেনদেন হয়েছিল ২৯৬ কোটি টাকা। এই ধরনের লেনদেন ছিল অন্তর্বর্তী সরকার আমলে সর্বনিম্ন লেনদেন।
সূচক
গত ৮ আগস্ট ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ছিল পাঁচ হাজার ৯২৪ পয়েন্ট। পরে বেড়ে গত ১১ আগস্ট ডিএসইএক্স হয়েছিল ছয় হাজার ১৬ পয়েন্টে। কিন্তু গত ৭ নভেম্বর ডিএসইএক্স দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে। গত তিন মাসে ডিএসইএক্স পতন হয়েছে ৭০০ পয়েন্ট। গত ৮ আগস্ট সূচক ডিএসইএস ছিল এক হাজার ২৭৫ পয়েন্ট। পরে বেড়ে গত ১১ আগস্ট ডিএসইএস হয়েছিল এক হাজার ২৮৫ পয়েন্টে। কিন্তু গত ৭ নভেম্বর ডিএসইএস দাঁড়ায় এক হাজার ১৮৮ পয়েন্টে। গত তিন মাসে ডিএসইএস পতন হয়েছে ৯৭ পয়েন্ট। গত ৮ আগস্ট সূচক ডিএস৩০ ছিল দুই হাজার ১৩৩ পয়েন্ট। পরে বেড়ে গত ১১ আগস্ট ডিএস৩০ হয়েছিল দুই হাজার ১৮৪ পয়েন্টে। গত ৭ নভেম্বর ডিএস৩০ দাঁড়ায় এক হাজার ৯৬৯ পয়েন্টে। গত তিন মাসে ডিএস৩০ পতন হয়েছে ২১৫ পয়েন্ট।
মূলধন : গত ৮ আগস্ট ডিএসইতে মূলধন দাঁড়িয়েছিল সাত লাখ তিন হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। পরের কর্মদিবস ১১ আগস্ট বাজারে মূলধন বেড়ে হয়েছিল সাত লাখ ১৩ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। কিন্তু গত ৭ নভেম্বর বাজার মূলধন দাঁড়ায় ছয় লাখ ৭১ লাখ ৮১০ টাকা। এই তিন মাসে বাজারে মূলধন কমেছে ৪১ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা।
বিএসইসির চেয়ারম্যান পদত্যাগ ও নিয়োগ : অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর ব্যক্তিগত অসুবিধার কথা জানিয়ে গত ১০ আগস্ট পদত্যাগ করেছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। পরে পদত্যাগ করেন বিএসইসির কমিশনের দুই কমিশনারও। গত ১৩ আগস্ট বিএসইসির চেয়াম্যান পদে নিয়োগ পান অর্থনীতিবিদ এম মাসরুর রিয়াজ। যা গত ১৭ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে যোগদান না করার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। ঠিক পরদিন গত ১৮ আগস্ট বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান পান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। এরপরে বিএসইসির কমিশনার পদে গত ২৮ আগস্ট নিয়োগ পান সাবেক জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. আলী আকবর। আর ৩ সেপ্টেম্বর কমিশনার পদে নিয়োগ পান ফারজানা লালারুখ।
ডিএসই চেয়ারম্যান পদত্যাগ ও নিয়োগ
অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর গত ১২ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে ডিএসইর চেয়ারম্যান এবং স্বতন্ত্র পরিচালকদের দ্রুত অপসারণ দাবি করে প্রতিষ্ঠানটির সদস্যদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। পরে ১৮ আগস্ট পদত্যাগ করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু। এছাড়া গত ২২ আগস্ট ডিএসই সব স্বতন্ত্র পরিচালকরা পদত্যাগ করেন। তাদের পদত্যাগ সংক্রান্ত চিঠি বিএসইসিতে পাঠানো হয়েছিল। গত ৩ সেপ্টেম্বর ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মমিনুল ইসলাম। এছাড়া ডিএসইর নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন- আর্মি ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডিরেক্টর জেনারেল (অব.) ড. মো. কামরুজ্জামান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মফিজুল ইসলাম রাশেদ, মেটলাইফ বাংলাদেশের সাবেক মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ হাম্মাদুল করীম, সিআইএসওর এমডি ও সিইও মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া এবং এফআইএনএস অ্যালায়েন্স রিস্ক অ্যাডভাইজরি এন্ড কনসালটেন্সির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও চিফ কনসালট্যান্ট শাহনাজ সুলতানা।