অনেক দিন পর সাব্বিরের ফেরা
দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন সাব্বির রহমান। নিজেকে হারিয়ে যেন খুঁজছিলেন। একটা সময় মনে হয়েছিল মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসা, হার্ডহিটিংয়ে সফল এই তারকার হয়তো আর ফেরা হবে না।
কিন্তু চমক দেখাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফরে দলের চরম ব্যর্থতার পর এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্ট দলে নেওয়া হয়েছে সাব্বিরকে।
২০১৯ সালে শেষ জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন সাব্বির। সে বছর সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। আর শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন একই বছর জুলাইতে।
নিজের চেনা আঙিনায় ফিরেছেন কঠোর পরিশ্রম করে। ঢাকায় কিংবা নিজের শহর রাজশাহী—যে খানেই সুযোগ পেয়েছেন নেমে পড়েন অনুশীলনে। ব্যাটিং, স্কিল, জিম কোনোটাই বাদ দেননি। সুযোগ পেলে নিয়েছেন সিনিয়দের তালিম। দেশের জার্সিতে ফেরার জন্য যত পরিশ্রম সবই করেছেন সাম্প্রতিক সময়ে।
এরই ফল পেয়েছেন, নির্বাচকদের নজরে পড়েছেন সাব্বির। দলে ফিরেছেন। এবার কেমন করেন সেটাই এখন দেখার।
গত ডিপিএলের ও বিপিএলে সাব্বিরের পারফরম্যান্স ছিল বেশ নজরকাড়া। যদিও টিম কম্বিনেশনের কারণে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। অনেকেই মনে করেন, টি-টোয়েন্টির ভঙ্গুর দশা কাটাতে কার্যকরী হতে পারে সাব্বিরের ভয়হীন ব্যাটিং।
এদিকে আগামী ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। টি–টোয়েন্টি সংস্করণের অনুষ্ঠিত হবে এবারের এশিয়া কাপ। এশিয়া কাপে ‘বি’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। এই গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গী হবে বাছাইপর্ব পেরোনো একটি দল।
দুই ভেন্যুতে পুরো টুর্নামেন্টে মোট ১৩টি ম্যাচ হবে। প্রথম পর্ব শেষে প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপরা উঠবে সুপার ফোরে। ৩ সেপ্টেম্বর শুরু সুপার ফোরের চারটি দল লিগপদ্ধতিতে খেলবে। সুপার ফোরের শীর্ষ দুটি দল ১১ সেপ্টেম্বর ফাইনালে মুখোমুখি হবে। সব ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।
বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৩০ আগস্ট, শারজায় সেই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ ১ সেপ্টেম্বর।