অপেক্ষা বাড়ল শেখ জামালের, দুর্দান্ত তামিম
এক ম্যাচ জিতলেই শিরোপার উল্লাস করবে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। এই সমীকরণে আজ রোববার তারা মুখোমুখি হয় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শেখ জামাল এদিন একেবারেই খেই হারিয়ে ফেলে। প্রথমে ব্যাট করে পারেনি বড় সংগ্রহ গড়তে। তাই হেরে যায় ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
বিকেএসপিতে আজ রোববার শুরুতেই হতাশ করেন শেখ জামালের দুই ওপেনার। সাইফ হাসান ও রবিউল ইসলাম রবি দ্রুত সাজ ঘরে ফেরেন। সে ধারাবাহিকতা ছিল পুরো ইনিংসে। অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম সাফল্য পাননি। তিনি মাত্র ১৪ রান করে আউট হন।
পাঁচ নম্বরে নামা নুরুল হাসান সোহান দৃঢ়তা দেখালে বড় সংগ্রহের আশা দেখে শেখ জামাল। তিনি ১০৫ বলে ৭১ রান করে সাজঘরে ফিরেন। তারকা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২ বলে ৪৭ রানের একটি ঝলমলে ইনিংস খেলে ফিরলেও অন্যরা ছিলেন আসা-যাওয়ায়। তাই শেষ পর্যন্ত একটা মাঝারি সংগ্রহ গড়ে শেখ জামাল।
তাইজুল ইসলাম ১০ ওভার বল করে ৪২ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। রাকিবুল ৩৫ রান খরচায় পান দুই উইকেট। আর শরিফুল, করিম ও এনামুল পান একটি করে উইকেট।
ছোট লক্ষ্যের জবাবে সহজেই জয় তুলে প্রাইম ব্যাংক। দুই ওপেনার এনামুল হক ও তামিম ইকবাল দুর্দান্ত দুটি ইনিংস খেলে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। দারুণ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে এনামুল এদিনও একটি হাফসেঞ্চুরি করেন। ৬৬ বলে ৫২ রান করেন তিনি।
সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৮৫ বলে ৯০ রানের অসাধারণ একটি ইনংস খেলেন তিনি। আর শাহাদাত হোসেন ৫২ ও মোহাম্মদ মিঠুন ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।
সক্ষিপ্ত স্কোর
শেখ জামাল : ৫০ ওভারে ২৩২/৮ (সাইফ ১৩, ইমরুল ১৫, মুশফিক ১৪, সোহান ৭১, রাসুল ৩৭, মিরাজ ৪৭, জিয়াউর ১৫*; শরিফুল ১০-১-৫৬-১, রকিবুল ১০-১-২৫-২, করিম জানাত ১০-০-৪১-১, তাইজুল ১০-১-৪২-৩, এনামুল ৩-০-২১-১)।
প্রাইম ব্যাংক : ৪০.২ ওভারে ২৩৪/২ (এনামুল ৫২, তামিম ৯০, শাহাদাত ৫২*, মিঠুন ৩১*; রাসুল ১০-০-৪৭-১, সাইফ ৩-০-২০-১)।
ফল : প্রাইম ব্যাংক ৮ উইকেটে জয়ী।