আহত হয়ে হাসপাতালে লিটন, ছিটকে গেলেন নাঈমও

গোলাপি বল চোখে দেখেন না লিটন দাস—এ প্রসঙ্গে নানা কথা ওঠে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে। অথচ ব্যাটিংয়ে তিনি ছিলেন সবচেয়ে সাবলীল। সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝে পাঁচ বাউন্ডারিতে ২৪ রানে ব্যাট করছিলেন। তখনই মোহাম্মদ শামির বলে আহত হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় লিটনকে। মাথায় আঘাত পাওয়া লিটনকে এরই মধ্যে পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দলের মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ঈমাম।
লিটনের পরিবর্তে ‘কানকাসন’ পদ্ধতিতে বদলি ব্যাটসম্যান নামানোর সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু শঙ্কার কথা হলো, বাংলাদেশের স্কোয়াডে একজনও বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান নেই। যাঁরা আছেন, তাঁরা সবাই বোলার। তাঁরা হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান ও তাইজুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত এঁদের মধ্যে থেকে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামানো হয়েছে মিরাজকে। এই স্পিনারই এখন বাংলাদেশের প্রথম বদলি ক্রিকেটার।
বদলি খেলোয়াড় মিরাজও তেমন ভালো করতে পারেননি। ইশান্ত শর্মার বলে ৮ রানে ফেরেন তিনি।
লিটন ছাড়াও ম্যাচটিতে মাথায় আঘাত পান আরেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার নাঈম হাসান। আঘাতের পর কিছুটা সময় ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেও পরে সাজঘরে ফিরেন তিনি। তাঁর বদলে ‘কনকাসন’ পদ্ধতিতে বদলি হয়ে নামেন তাইজুল ইসলাম। সব মিলিয়ে এক ম্যাচে দুই জন বদলি ক্রিকেটার খেলিয়েছে বাংলাদেশ । যেটা ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল।
ইনিংসের ২১তম ওভারে মোহাম্মদ শামির বল এসে আঘাত করে লিটনের হেলমেটে। ফিজিওর সঙ্গে কথা বলে আবার ব্যাট করতে নেমে চার মারেন তিনি। তবে মাথায় অস্বস্তিবোধ করায় ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারলেন না। আম্পায়ারকে নিজের অস্বস্তির কথা জানান তিনি। পরক্ষণে দলের ফিজিও এসে লিটনকে সাজঘরে নিয়ে যান।
লিটনের সাজঘরে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয় প্রথম সেশন। ৬ উইকেটে ৭৩ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
গোলাপি রঙের আভায় সাজানো ইডেন গার্ডেনসে ক্রিকেটের নতুন অধ্যায়ে পা দিয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। বিশেষ কয়েনের টসে জিতে ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করার সাহসী সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে চরম ব্যর্থতার প্রমাণ দিচ্ছেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা।
ইনিংসের শুরুতেই ইমরুল কায়েসকে হারায় বাংলাদেশ। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ইমরুল কায়েসকে এলবির ফাঁদে ফেলার জোরালো আবেদন করলেন ইশান্ত শর্মা। স্বাগতিক পেসারের আবেদনে সাড়াও দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে সেই যাত্রায় বেঁচে যান এই বাংলাদেশি ওপেনার। কিন্তু একই ওভারের ৩ নম্বর বলে আর নিজেকে রক্ষা করতে পারলেন না তিনি। ইশান্তর বলে সেই এলবির ফাঁদে পড়েই উইকেট বিলিয়ে দিলেন ইমরুল। এর আগের ম্যাচেও দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ১২ রান করেছিলেন তিনি।
দলকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারলেন না অধিনায়ক মুমিনুল হকও। স্লিপে রোহিত শর্মার অসাধারণ ক্যাচে শূন্য রানে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ মিঠুনও ফিরলেন শূন্য রানে। তিন বলের মধ্যে দুই উইকেট নেন উমেশ যাদব।
ব্যাটিংয়ের মূল আস্থা মুশফিকুর রহিমও হাল ধরতে পারেননি। ইন্দোরে বাংলাদেশের মান রাখা মুশফিক ঐতিহাসিক টেস্টে ফিরলেন শূন্য রানে। এরপরে একে একে ফিরলেন সাদমান ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ, এবাদত হোসেনরা ।