ঈদ সালামি দিতে না কি নিতে পছন্দ করেন জাহানারা?
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/04/22/298987808_1291528807918534_5789209563216346360_n.jpg)
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, মায়ের হাতে রান্না খাওয়া কিংবা আত্নীয়স্বজনদের বাসায় ঘুরতে যাওয়া। আর আট দশটা সাধারণ মানুষের মতোই কাটে ক্রিকেটারদের ঈদ। প্রিয় তারকাদের জানা বিষয়গুলো নতুন করে জানতে ইচ্ছে করে ভক্ত-সমর্থকদের। ঈদ নিয়ে ক্রিকেটারদের মজার স্মৃতিগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছে এনটিভি অনলাইন। এবার থাকছে জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটার জাহানারা আলমের কথা।
খেলার জন্য পরিবারের সঙ্গে খুব একটা ঈদ পালনের সুযোগ হয় না ক্রিকেটারদের। নারী ক্রিকেটার জাহানারা আলমও ব্যাতিক্রম নয়। এনটিভি অনলাইনে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জাহানারা শুনিয়েছেন ঈদের দিনের অভিজ্ঞতা।
এনটিভি অনলাইন: ছোটবেলার নাকি এখনকার, কোন সময়ের ঈদ বেশি উপভোগ করেন?
জাহানার আলম: ‘ক্যারিয়ার শুরুর ঈদটা ছিল অন্যরকম একদম ব্যাতিক্রমী। আর খুব ছোটবেলায় আমি স্পোর্টসে এসেছি। যখন আমার বয়স ৯-১০ বছর। তবে আমার কাছে মনে হয় এখনকার ঈদ আমি বেশি উপভোগ করি। কারণ সালামি নেওয়ার মধ্যে যে আনন্দ, দেওয়ার মধ্যে তার চেয়ে দ্বিগুন আনন্দ। যখন আপনি কাউকে সালামি দিবেন, তার মুখের যে আত্নতৃপ্তির হাসি, এটা আসলে অনেক বেশি আনন্দের।’
এনটিভি অনলাইন : ঈদে বাবা-মায়ের সঙ্গে কোনো মজার স্মৃতি বা অভিজ্ঞতা আছে কি?
জাহানার আলম : ‘বাবা-মায়ের সঙ্গে না ঠিক, আমি বলব যে ৩ বছর আগে কুরবানীর ঈদে বাসায় যাওয়ার জন্য, দুদিন আগে আপুর বাসায় গিয়েছিলাম। ওখান থেকে মিরপুর আসার সময় খুব কাঠখড় পোহাতে হয়। তখন উবার স্টার্ট হয়, যদিও উবার অতটা অ্যাভেইলেবল ছিল না। নো সিএনজি, নো ক্যাব, নো বাস ইভেন, ট্রাম্পবাস। কিছুই ছিল না, ওখান থেকে হেঁটে হেঁটে এসেছিলাম, কালসী পর্যন্ত। পরে ব্রিজের ওপরে গিয়ে গরুর তাড়া খেয়েছিলাম। হেঁটে আসার সময় একটা গরুর সঙ্গে দুষ্টমি করতে গিয়ে রীতিমত ফেঁসে গিয়েছিলাম।’
সম্প্রতি হংকংয়ের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ফেয়ারব্রেকে অংশ নেন জাহানারা। ৬ দলের এই টুর্নামেন্ট দ্য ফ্যালকনসের জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন জাহানারা। টুর্নামেন্ট শেষে গত মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দেশে ফিরেছে জাহানারা। প্রতিবারের মতো এবারও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন এই অলরাউন্ডার।