সালমাদের জয়ে তামিমদের উল্লাস
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/06/10/photo-1528628747.jpg)
বাংলাদেশের পুরুষ ক্রিকেট দল অনেক চেষ্টাই করেছে একটা বড় শিরোপা জয়ের জন্য। দুই দুইবার ফাইনালেও গিয়েছিলেন সাকিব-তামিম-মুশফিকরা। কিন্তু শেষ হাসিটা হাসতে পারেননি। মাঠ ছাড়তে হয়েছিল পরাজয়ের হতাশা নিয়ে। তাঁদের সেই কষ্ট আজ কিছুটা হলেও লাঘব করতে পেরেছেন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। সালমা-জাহানারা-ফারাজানাদের হাত ধরেই দেশে আসল প্রথম বড় কোনো শিরোপা। এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আজ বিজয়পতাকা উড়ালেন নারী ক্রিকেটাররা।
পুরুষদের ক্রিকেট নিয়ে দেশে যতটা হইচই হয়, নারীদের নিয়ে তেমনটা হয় না। এভাবেই শুরু হয়েছিল এশিয়া কাপটা। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেও গিয়েছিলেন সালমারা। খুব বেশি গুরুত্ব হয়তো পাননি তখন। তবে এরপর থেকেই সালমারা লিখতে শুরু করেন ঘুরে দাঁড়ানোর এক অসাধারণ গল্প। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে হারিয়ে দেন ভারত-পাকিস্তানকে। নড়েচড়ে বসতে শুরু করেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। এই দুর্দান্ত নৈপুণ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলে আসেন ফাইনালের মঞ্চে।
আজ ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল খেলাটি দেখতে শুরু থেকেই সবাই চোখ রেখেছিলেন টিভির পর্দায়। বাদ যাননি পুরুষ ক্রিকেটাররাও। ড্রেসিং রুমে তামিমরাও হয়েছেন বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ার সাক্ষী। শেষ বলে দরকার দুই রান। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে সবাই তাকিয়ে ছিলেন টিভি পর্দার দিকে। জাহানারা আলম দুই রান নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুরো দেশের সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়লেন তামিম-মিরাজরা। পুরুষ ক্রিকেটারদের এই বিজয়োল্লাসের ভিডিওটি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন তামিম। সঙ্গে লিখেছেন, ‘ওয়েল ডান গার্লস’।
আনন্দের সঙ্গে কিছুটা কি আক্ষেপও হয়েছিল তামিমদের? এই উল্লাসে তাঁরা নিজেরাও মেতে উঠতে পারতেন ২০১২ সালের এশিয়া কাপে। সেবার দেশেরই মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ২ রানে হেরে গিয়েছিলেন সাকিব-তামিমরা। সেবারও সেই শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৯ রান। সাকিবরা পারেননি। সালমারা পেরেছেন। ঘুঁচিয়েছেন শিরোপাখরা। সালমাদের এই সাফল্য সাকিবদেরও নিশ্চয়ই অনুপ্রাণিত করেছে। এখন পুরুষ ক্রিকেটাররা কবে সেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাবেন, সেটাই দেখার বিষয়।