কাজের স্বীকৃতি পেয়ে খুশি আবাহনী কোচ
স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জয়ের স্বাদ সবশেষ পাওয়া হয়েছিল ১৯৯০ সালে। মাঝে কেটেছে ৩১ বছর। এত লম্বা সময় অপেক্ষার পর অবশেষে এ ঘরোয়া টুর্নামেন্ট জয়ের স্বাদ পেল আবাহনী লিমিটেড। স্বাধীনতা কাপের ১১তম আসরে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী।
এত বছর পর আবাহনীকে সাফল্য এনে দিতে পেরে খুশি কোচ মারিও লেমোস। এটি তাঁর অধীনে আবাহনীর প্রথম শিরোপা। তাই এটিকে কাজের স্বীকৃতি হিসেবেও মানছেন লেমোস।
গতকাল শনিবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে গেল আসরের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী।
এর আগে ২০১৬ সালে এ প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেছিল আবাহনী। সেবার চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল তারা। তবে, এবার শিরোপার মঞ্চে উঠে আর ভুল করল না তারা। শক্তিশালী বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে মুকুট পরল আবাহনী।
২০১৮ সালে আবাহনীর দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম শিরোপা জিতে লেমোস বলেন, ‘অবশ্যই আমার কাছে এটা বিশেষ ট্রফি। তিন বছরের এক বছর কোভিডে পার হয়েছে, এর মধ্যেও অনেক পরিশ্রম করেছি। এটা হতাশার যখন আপনি ট্রফি না জিতে দ্বিতীয় বা তৃতীয় হয়ে শেষ করবেন বা টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল বা সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়বেন। এখন মনে হচ্ছে যেন আমার কাজ স্বীকৃতি পেল।’
আবাহনীর কোচ আরও বলেন, ‘বিগত বছরে বসুন্ধরা কিংস টানা শিরোপা জিতেছিল। গতবারের চেয়ে আমাদের এবারের দল আরও শক্তিশালী। খারাপ বা ভালো হোক, আমরা সবসময় খেলোয়াড় পরিবর্তন করে খেলিয়েছি। আমরা টুর্নামেন্ট জিততেই চেয়েছিলাম।’
এ বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়েই ২০১৮ সালের ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতেছিল আবাহনী। এবার একই প্রতিপক্ষকে হারিয়েই স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতল লেমোসের দল।