চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের বড় হার
প্রথম ইনিংসে ব্যাটে-বলের নৈপুণ্যে কিছুটা হলেও আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ক্রমেই সেই আশা রূপ নিল হতাশায়। পরের ইনিংসে ব্যাটে-বলে কোনো বিভাগেই জ্বলে উঠতে পারেননি মুমিনুলরা। উল্টো দুই বিভাগে দাপট দেখিয়ে সহজেই চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে আট উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান।
আজ মঙ্গলবার টেস্টের শেষ দিনের প্রথম সেশনেই বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। দুই ইনিংসে দুর্দান্ত করে ম্যাচসেরা হয়েছেন পাকিস্তানের ওপেনার আবিদ আলী। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা আবিদ দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেছেন ৯১ রানের ইনিংস।
চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনই ম্যাচের লাগাম টেনে ধরেছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে গতকালই জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল সফরকারীরা। জয় থেকে স্রেফ ৯৩ রান দূরে থেকে দিন শেষ করে তারা। আজ মাঠে নেমে প্রথম সেশনে নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। বাংলাদেশ দুটি উইকেট তুলে নিলেও পাকিস্তানের জয় আটকাতে পারেনি।
জয়ের কাজটা সহজ করে যান আবিদ ও শফিক। একজন ৯১ রান করে ফেরেন। আর শফিক ফেরেন ৭৩ রান করে। এরপর আজহার আলী করেন ২৪ রান আর বাবর আজম করেন ১৩ রান।
গতকাল চতুর্থ দিন শেষ সেশনে শক্ত জুটি উপহার দিয়েছেন আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিক। প্রথম ইনিংসের মতোই দুজনেই সাবলীল ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়েছেন দুজন। কাল শেষ সেশনে বাংলাদেশের চার বোলার মিলে তাদের জুটি ভাঙতে পারেননি। দুজনেই হাফসেঞ্চুরি তুলে দিন শেষ করেন। আর আজ জয়ের পথই তৈরি করে দেন দুজন।
কাল চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। তবে, চরম চাপের মুখ থেকে বাংলাদেশকে কিছুটা হলেও পথ দেখান লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা লিটন দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। তাঁর ব্যাটে চড়ে চট্টগ্রাম টেস্টে পাকিস্তান ২০২ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ।
লিটনের ব্যাটে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রান করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের লিড ছিল ৪৪ রান। মোট ২০১ রানের পুঁজি পায় মুমিনুল হকের দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন লিটন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৪ রান করেন লিটন। বিপরীতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ২৮৬ রানে থামে পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে বেশ উজ্জ্বল ছিলেন তাইজুল ইসলাম। ১১৬ রান দিয়ে সাত উইকেট নেন তিনি। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। ৪৭ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন ইবাদত। আর মেহেদী হাসান মিরাজ পান একটি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৩০
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ২৮৬
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস : ১৫৭ ( সাদমান ১, সাইফ ১৮, নাজমুল ০, মুমিনুল ০, মুশফিক ১৬, ইয়াসির আহত অবসর ৩৬, লিটন ৫৯, মিরাজ ১১, সোহান ১৫, তাইজুল ০, আবু জায়েদ ০, ইবাদত ০*; আফ্রিদি ১৫-৮-৩২-৫, হাসান ১১-০-৫২-২, ফাহিম ৮-৩-১৬-০, নুমান ৯-৩-২৩-০, সাজিদ ১৩.২-১-৩৩-৩)।
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস : ২০৩/২ (আবিদ ৯১, শফিক ৭৩, আজহার ২৪ ও বাবর ১৩ ; তাইজুল ২৮-৪-৮৯-১, ইবাদত ৯-২-৩০-০, রাহি ৪-০-২৩-০, মিরাজ ১৮.৩.-৪-৫৯-১)।
ফল : আট উইকেটে জয়ী পাকিস্তান।
সিরিজ : ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।