জয় শাহর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ওয়াসিম আকরাম
২০২৩ সালের এশিয়া কাপ খেলতে ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফরে যাবে না বলে সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিসিসিআই সভাপতি জয় শাহ। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি হিসেবে তাঁর এমন বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কড়া সমালোচনা করছে। পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম মনে করেন বিষয়টি ন্যায্য নয়।
কিংবদন্তি পেসার বলেছেন, জয় শাহ যদি এমন একটি বিবৃতি দিতে চান, তবে তাঁর অন্তত পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজাকে ফোন করা উচিত ছিল। এটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘পাকিস্তান কীভাবে তাদের ক্রিকেট খেলে তা ভারত নির্দেশ করতে পারে না। ১০-১৫ বছর ধরে পাকিস্তানে খুব বেশি ক্রিকেট হয়নি। এখন দলগুলো পাকিস্তান সফর শুরু করেছে। আমি একজন সাবেক ক্রিকেটার, ক্রীড়াবিদ, আমি জানি না রাজনৈতিক ফ্রন্টে কি ঘটছে। তবে মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
‘আপনি যদি এরকম কিছু বলতে চান (জয় শাহ) অন্তত আমাদের চেয়ারম্যানকে ফোন করা উচিত ছিল। আপনার উচিত ছিল এশিয়ান কাউন্সিলের মিটিং ডাকা। আপনি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি জানাতে পারতেন, সেখানে আলোচনা হতে পারত। আপনি শুধু দাঁড়িয়ে বলতে পারবেন না যে আমরা পাকিস্তানে যাচ্ছি না।’
গত মঙ্গলবার জয় শাহ বলেছিলেন, ভারত পরবর্তী এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তান সফর করবে না। টুর্নামেন্টটি একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা হবে।
এই খবরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এর জন্য এসিসির সভাপতি ও বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহকে অভিযুক্ত করেছে তারা। তাই পরের বছর ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপসহ আইসিসি ইভেন্টগুলোতে তা প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করে পিসিবি। মানে একরকম বিশ্বকাপ বর্জনের হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান।
গত বুধবার পিসিবি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পরের বছর এশিয়া কাপ একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে স্থানান্তরিত করার বিষয়ে এসিসি সভাপতি জয় শাহের মন্তব্যে পিসিবি বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করেছে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বা পিসিবির সঙ্গে (ইভেন্ট হোস্ট) কোনো আলোচনা বা পরামর্শ ছাড়াই এই এমন ভাবনা ঠিক নয়।’
‘জয়ের এশিয়া কাপ স্থানান্তরের বিবৃতি স্পষ্টতই একতরফাভাবে করা হয়েছে। এটি নিয়মের পরিপন্থী। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বরে গঠিত হয়েছিল। এটি সদস্যদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এবং এশিয়ায় ক্রিকেট খেলাকে সংগঠিত, বিকাশ ও প্রচারের জন্য একটি সংযুক্ত এশিয়ান ক্রিকেট সংস্থা।’
পিসিবি বিবৃতিতে আরও জানায়, ‘এ ধরনের বিবৃতি এশিয়ান এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিভক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ২০২৩ সালের আইসিসি বিশ্বকাপ এবং ২০২৪-২০৩১ চক্রে ভারতে অনুষ্ঠেয় ভবিষ্যতের আইসিসি ইভেন্টগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে।’