ডি মারিয়ার চোখ এবার বিশ্বকাপে
সেই ১৯৯৩ সালে সর্বশেষ শিরোপা জেতেছিল আর্জেন্টিনা। দীর্ঘ ২৮ বছর পর শিরোপা পুনরুদ্ধার করল তারা। কোপা আমেরিকা কাপের ফাইনালে ডি মারিয়ার একমাত্র গোলে শিরোপার উল্লাস করে মেসিরা।
২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিকে মেসির একমাত্র আন্তর্জাতিক জয়ের পেছনের কারিগর ছিলেন ডি মারিয়া। সেবারও ফাইনালে গোল করে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি। এবার কোপা আমেরিকা কাপে দলকে দারুণ এই সাফল্য এনে দিলেন এই পিএসজি তারকা ।
গোল ডটকমের খবরে জানা গেছে, দারুণ এই সাফল্য উচ্ছ্বসিত ডি মারিয়া। তিনি বলেন, ‘এটা একটা অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। ম্যাচের পর মেসি আমাকে ধন্যবাদ জানায়। আমিও ধন্যবাদ জানাই ওকে। ও আমাকে বলেছিল এটা আমার ফাইনাল, গতবারের ফাইনাল খেলতে না হতাশা মেটানোর সুযোগ। অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হলো। আমার স্ত্রী, সন্তান ও সমর্থক যারা এখানে ম্যাচ দেখতে উপস্থিত হয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। শীঘ্রই বিশ্বকাপ আসছে, তার আগে এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে।’
মেসি পুরো টুর্নামেন্টে চারটি গোল করেছেন। পাশাপাশি অনেকগুলো গোল করিয়েছেন।
কোপায় এ নিয়ে মোট ১৫ বার শিরপো জিতল আর্জেন্টিনা। তারা ছুঁয়ে ফেলে উরুগুয়েকে। আপাতত সবচেয়ে বেশি ১৫ বার করে কোপা জয়ে যুগ্মভাবে শীর্ষে উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনা।
সবচেয়ে বেশি ২৯ বার ফাইনালে ওঠা ও ৩৬ বার প্রথম শেষ চারে খেলার সুবাদে কোপার ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দলে পরিণত হল আর্জেন্টিনা।
দীর্ঘ ২৮ বছর এই দিনটির অপেক্ষায় ছিল আর্জেন্টিনা। অপেক্ষায় ছিল, জাতীয় দলের হয়ে সময়ের সেরা ফুটবলার মেসির হাতে শিরোপা দেখার। অবশেষে সব অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে স্বপ্নের ট্রফি জিতল আর্জেন্টিনা।
আজ রোববার ঐতিহাসিক মারাকানায় ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে আর্জেন্টিনা শিরোপার উল্লাস করে। ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া গোলটি করেন ডি মারিয়া। ২০০৪ সালে সিজার দেলগাদোর পর প্রথম আর্জেন্টাইন ফুটবলার হিসেবে কোপার ফাইনালে গোল করলেন ডি মারিয়া।
মারাকানায় ম্যাচটিতে বল দখলে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। প্রথমার্ধের ৬০ ভাগ সময় বল দখলে রেখেছেন নেইমাররা। আক্রমণেও এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। পুরো ম্যাচে ১৩টি শট নিয়েছে ব্রাজিল, যার মধ্যে দুটি ছিল অনটার্গেটে যাওয়ার মতো। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার পাঁচ শটের মধ্যে লক্ষ্যে যাওয়ার মতো ছিল দুটি। তার মধ্যেই সফল লিওনেল স্কালোনির দল।