ঢাকাকে উড়িয়ে ফাইনালে চট্টগ্রাম

জেমকন খুলনার কাছে হেরে ফাইনালে ওঠার প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করেছিল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। তবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কোনো ভুল করেনি ছন্দে থাকা চট্টগ্রাম। বেক্সিমকো ঢাকাকে সাত উইকেটে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
এর আগে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে ওঠে জেমকন খুলনা। আগামী ১৮ ডিসেম্বর ফাইনালে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম ও খুলনা।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকার দেওয়া ১১৭ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করে চট্টগ্রাম। দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে জয়ের দিকে এগুচ্ছিল তারা। কিন্তু সৌম্যকে রান আউট করে ছন্দ ভাঙেন আকবর আলী। ২৩ বলে ২৭ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার।
সৌম্য ফেরার পর দ্বিতীয় উইকেটে মিঠুনের সঙ্গে দলকে টানেন লিটন। কিন্তু ছন্দে থাকা লিটন এদিন রান তুলেছেন ধীর গতিতে। মিঠুন-লিটনের এই জুটি ১৮তম ওভারে ভাঙেন আল আমিন। ৪৯ বল মোকাবিলা করে ৪০ রান করেন ডানহাতি ওপেনার লিটন। পরের ওভারে মিঠুনকে ফিরিয়ে খেলা জমিয়ে তোলেন মুক্তার আলী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো লাভ হয়নি। শামসুর রহমানের ব্যাটে ৫ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।
টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে দশ উইকেটে ১১৬ রান করে বেক্সিমকো ঢাকা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন মুশফিক ও আল আমিন।
আজ মঙ্গলবার ওপেনিংয়ে পরিবর্তন এনে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। অবশ্য তাতে সাফল্য মেলেনি। দলীয় ১৯ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে শট খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে সৈকত আলীর হাতে ক্যাচ তুলে দেন ওপেনার সাব্বির রহমান। ১১ রান করেন তিনি। এরপর ৭ রানে মুক্তারকে বিদায় করেন নাহিদুল।
তিনে ব্যাট করতে নামা মোহাম্মদ নাঈমকে ফেরান রাকিবুল হাসান। ডিপ মিডউইকেট অঞ্চলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান এই ব্যাটসম্যান। ১৭ বল মোকাবিলা করে ১২ রান করেন তিনি।
চমৎকার ক্যাচ ধরে মুশফিককেও বিদায় করেন রাকিবুল। ১৩.২ ওভারে সৈকতের বলে স্কয়ার লেগ অঞ্চলে অনেক কঠিন ক্যাচ তালুনন্দি করেন রাকিবুল। ৩১ বলে ২৫ রান করেন ঢাকার অধিনায়ক। ছন্দে থাকা ইয়াসিরও এদিন দায়িত্ব নিতে পারেননি। মুস্তাফিজের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে তুলে দেন ইয়াসির (২৪)।
কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছেন আল আমিন। ১৮.২ ওভারে ২৫ রানে তাঁকে বোল্ড করে সেই চেষ্টাও ব্যর্থ করে দেন মুস্তাফিজ। পরের বলে একইভাবে নাসুম আহমেদকেও বোল্ড করেন মুস্তাফিজ। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে বেশিদূর যেতে পারেনি ঢাকা। শেষ পর্যন্ত ১১৬ রানেই থেমে যায় মুশফিকের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বেক্সিমকো ঢাকা : ২০ ওভারে ১১৬/১০ (সাব্বির ১১, মুক্তার ৭, নাঈম ১২, মুশফিক ২৫, ইয়াসির ২৪, আল আমিন ২৫, আকবর ২, নাসুম ০, রুবেল ২, রবি ৩; রাকিবুল ৪-০-২৬-১, নাহিদুল ৪-০-১৫-১, শরিফুল ৪-০-১৭-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৩২-৩, সৈকত ৪-০-২২-১, সৌম্য ১-০-৩-১)।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম : ১৯.১ ওভারে ১১৭/৩ (লিটন ৪০, সৌম্য ২৭, মিঠুন ৩৪, শামসুর ৯, সৈকত ২; রুবেল ৪-০-১৯-০, রবি ৩-০-২৮-০, শফিকুল ৪-০-১৯-০, নাসুম ৪-০-১৭-০, মুক্তার ৩-০-২৮-১)।
ফল : সাত উইকেটে জয়ী গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।