‘দুদিন ঘুমাতে পারিনি, বান্ধবীর কাছেও যাইনি’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে সুযোগ না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ইংলিশ বোলার স্টুয়ার্ট ব্রড। বাদ পড়ায় এতটাই মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন যে অবসরের কথাও ভেবে ফেলেছিলেন ইংল্যান্ডের অন্যতম এই ফাস্ট বোলার। গতকাল রোববার সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই সময়টার বর্ণনা দেন ব্রড।
প্রথম টেস্টে বাদ পড়া ব্রডকে পরের দুই ম্যাচে ফেরানো হয়। সুযোগ পেয়ে ব্রড বুঝিয়ে দেন, এখনো তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর। সিরিজের প্রথম ম্যাচে না থেকেও হয়েছেন সিরিজসেরা। দুই টেস্টে বল হাতে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। স্পর্শ করেছেন ৫০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক। এ ছাড়া ব্যাট হাতে ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের ভরসা হয়ে ওঠেন। অথচ বাদ পড়ার পর অবসরের কথাও ভেবে ফেলেছিলেন ব্রড।
ব্রড বলেন, ‘অবসর নেওয়ার ভাবনা কি আমার মাথায় এসেছিল? শতভাগ এসেছিল। খুব হতাশ হয়ে পড়ি। কারণ, আমি প্রথম ম্যাচে খেলব বলেই আশা করেছিলাম। তবে খেলাধুলায় এ রকম ভাবা সব সময়ই বিপজ্জনক। আমার মনে হয়েছিল, দলে জায়গা আমার প্রাপ্য।’
বাদ পড়ার খবর শোনার পর দুদিন ঘুমাতে পারেননি ব্রড। এমনকি বান্ধবীর সঙ্গেও দেখা করেননি তিনি, ‘স্টোকসি (বেন স্টোকস) যখন বলল যে আমার খেলা হচ্ছে না, তখন আমার শরীর কাঁপতে শুরু করেছিল। আমি কথাই বলতে পারছিলাম না। কাউকে কিছু বলিনি। কিন্তু ওই ম্যাচে জায়গা না পেয়ে ভেঙে পড়ি। হোটেলে একা ছিলাম। কোথাও যেতে পারছিলাম না। মলির (বান্ধবী) কাছে গিয়ে বারবিকিউ করব, মজা করব কিংবা একটু ভাবব, সে উপায় ছিল না। দুদিন ঘুমাতে পারিনি। আমি যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম। আবেগ-অনুভূতি তখন যে রকম ছিল, তাতে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবেই নিতে পারতাম।’
অবশ্য কঠিন ওই সময়ও স্টোকসকে পাশে পেয়েছিলেন ব্রড, “বৃহস্পতিবার রাতে (টেস্টের দ্বিতীয় দিন) স্টোকসি দরজায় নক করে করিডোরে অপেক্ষা করল কথা বলার জন্য। জিজ্ঞেস করল, ‘ক্রিকেট নিয়ে কিছু বলব না। কিন্তু তুমি আছো কেমন?’ ওর এই ব্যাপারটি সত্যিই মন ছুঁয়ে গিয়েছিল আমার।”
ব্রড আরো বলেন, ‘ইংল্যান্ডের সেরা একাদশে আমি কি নিজেকে দেখি? অবশ্যই। সেরা একাদশে জিমি অ্যান্ডারসনের থাকা উচিত? সেটাও নিশ্চিত। কোনো সন্দেহ নেই যে জিমি ও আমি আরো উন্নতি করেছি। (এ নিয়ে) কোনো সংশয়ই নেই।’